প্রতিদিনের খবর ডেস্ক:
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সন্ত্রাসী হামলায় পুলিশের এসআই মানিক চন্দ্র বড়ুয়া, পুলিশ সদস্য মফিজ উদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম সহ ৩ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ জানায়, (৩১ আগষ্ট) শনিবার রাত সাতটার দিকে মোবাইল ফোনের তথ্যের ভিত্তিত্বে এসআই মানিক দুই পুলিশ সদস্যকে নিয়ে রায়পুর পৌর ৯নং ওয়ার্ডস্থ সাবেক কাউন্সিলর গোলাম হায়দারের বাড়িতে কয়েকজনের জুয়া খেলা অবস্থায় অভিযান চালায়। এ সময় জুয়াড়িরা পুলিশ সদস্যদের দেখেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের সাথে তারা তর্কবিতর্কের পর পুলিশ ওই চার ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়।
কিন্তু এতে ক্ষীপ্ত হয়ে কাউন্সিলর গোলাম হায়দরের ছেলে শান্ত আরো উত্তেজিত হয়ে পুলিশ সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ সহ এসআই মানিকের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে শান্ত এসআই মানিককে শুইয়ে তার বুকের উপর উঠে এলােপাতাড়ি কিলঘুষি মারতে থাকে। এবং তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। সঙ্গে সঙ্গে শান্ত ও তার সংগীরা অন্য দুই পুলিশ সদস্যের উপর হামলা মারধর শুরু করে। ঘটনার সময় সন্ত্রাসীরা এসআই মানিক এবং অন্য পুলিশের পোষাক ও ব্যাজ ছিঁড়ে ফেলে।
পরে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় পুলিশ উদ্ধার হলে ও ঘটনার সাথে জড়িত ৯নং ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর গোলাম হায়দারের ছেলে মোঃ তানভীর হায়দার শান্ত (২৮), নুরুল আমিনের ছেলে মোঃ তুহিন (২৯), মৃত; আবু জাফরের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৭) ও নূর ইসলামের ছেলে মোঃ সাহাবুদ্দিন (২৯) সহ ওই চার সন্ত্রাসীকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় এসে এসআই মানিক হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে। এ সময় সকল থানা পুলিশ অফিসার ও পুলিশ সদস্যরা মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদে ফেটে পড়ে।
এসময় থানায় অবস্থানরত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মাঝে তীব্র ক্ষোভ, উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে নিন্দা ও দুঃখ প্রকাশ করে অনেকেই। তবে আটককৃতরা সবাই পৌর ৯নং ওয়ার্ডের অধিবাসী বলে জানা গেছে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে , একটি প্রভাবশালী চক্র ঘটনার পর থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আটককৃত আসামীদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য জোর তদবীর চালায়। এতে মারাত্মকভাবে পুলিশের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হবে বলে অনেকেই মত দেন।
Leave a Reply