লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মিরন মেম্বার হত্যা মামলার রহস্য উম্মোচিত হয়েছে। দুইজন আসামীকেও ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ২টি বন্দুক, ২টি এলজি, ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত সিএনজিসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় মিট দ্যা প্রেসের আয়োজন করে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার গনমাধ্যমকর্মীদের জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে চন্দ্রগঞ্জ থানার একটি চৌকস টীম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে মিরন মেম্বার হত্যাকান্ডের অন্যতম আসামি মো. জসিমকে স্থানীয় বটতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। হত্যাকান্ডের বিষয়ে জসিমকে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে ওই হত্যাকান্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে। একই সঙ্গে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলির গোপন হেফাজতের তথ্য দেয়। তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে নিয়ে ২১ অক্টোবর বিকালে চন্দ্রগঞ্জ থানার চরচামিতা মিজি বাড়ীর কাচারী ঘরের ভিটির নিচ থেকে বস্তা ভর্তি অবস্থায় অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে।
পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে অস্ত্র গুলো মিরন মেম্বার হত্যাকান্ডে ব্যবহারের কথা স্বীকার করেন। হত্যাকান্ডে জসিম নিজে ও জনৈক লোকমান এবং সিএনজি চালক জামালসহ আরো ১ জন জড়িত ছিল বলে জানায়। তারা অপর ৫ জনের কাছ থেকে লোকমানের বাড়ীর সামনে ওই অস্ত্রগুলো বুঝে নেয়। এর আগে গত ১১ অক্টোবর হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত নাম্বার বিহীন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও চালককে আটক করে পুলিশ। জামাল তার নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। এছাড়াও এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী ইলিয়াছ কোবরা গত ১৪ অক্টোবরে দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর গোলাগুলিতে নিহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার এ হত্যাকান্ডকে পরিকল্পিত একটি হত্যাকান্ড উল্লেখ করে পূর্ব শত্রুতা ও স্থানীয় বিরোধের ফলশ্রুতিতে মিরনকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান। এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনাসহ ডে কোন অপরাধ দমনে পুলিশ জিরো টলারেন্সে রয়েছে বলে জানান জেলার এ পুলিশ প্রধান।
প্রসঙ্গত : সদর উপজেলার দত্তপাড়ার আলাদাতপুরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮ টায় ৪ জন মুখোশপরা অস্ত্রধারীরা স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম মিরনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাত নামাদের আসামী করে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়।
Leave a Reply