বিশেষ প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ডেকে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ অভিযোগ উঠেছে ৫ বখাটের বিরুদ্ধে। এঘটনায় মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুর গ্রামে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন জনকে আটক করে এবং মূমুর্ষ অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুরসদর হাসপাতালে ভর্তি করান। গণধর্ষণের শিকার কিশোরী উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
আটককৃতরা হলেন, ইমন, রাসেল ও শরীফ, তারা সবাই একই ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নোয়াপাড়া গ্রামের ওই কিশোরীর বাবা-মা কয়েক বছর পূর্বেই পৃথক বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়। বাড়িতে কিশোরী একাই বসবাস করতো। এ সুযোগে কিছুদিন পূর্বে পার্শবর্তী ভাদুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভাদুর গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে শাওন ওই কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনার দিন রাতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শাওন পশ্চিম ভাদুর গ্রামে তার বন্ধু ইমনের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে রাতে ওই বাড়িতেই আরো তিন বন্ধু এসে মোট ৫ জন মিলে রাতভর কিশোরীকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। এতে গুরুত্বর আহত হয়ে পড়ে কিশোরী। সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ঘটার পর থেকে অভিযুক্ত শাওনসহ দুজন পলাতক রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মুমূর্ষ অবস্থায় ধর্ষনের শিকার এক কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, কিশোরীকে গণধর্ষনের ঘটনায় তিন ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত শাওনসহ বাকী দুজনকে আটকের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply