বিশেষ প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাহপুর বাজারে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা।
এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ১০ জন। রোববার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- হাবিব, রনি, মনু, রায়হান, রাকিবসহ ১০ জন। এরমধ্যে রাকিব ও রায়হানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। আহত অন্যান্যদের নাম জানা যায়নি এদিকে ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে জামায়াত নেতা ফারুক হোসেনসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হাসপাতালে আহতরা জানান, রোববার সন্ধ্যার পর স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন তারা। রাত ৮টার দিকে শিবিরের কয়েকজন এসে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিগি¦দিক ছুটোছুটি করেন স্থানীয়রা। এর মধ্যে শিবিরের কয়েকজন দোকানে ঢুকে ছাত্রলীগের কর্মীদের কুপিয়ে আহত করে। পরে হামলাকারীরা চলে গেলে
স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
স্থানীয় আমান উল্যাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান জানান, জামায়াত নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেনের ভাই ফারুক হোসেন গত কয়েকদিন
আগে জেলহাজত থেকে ছাড়া পেয়ে এ হামলার পরিকল্পনা করে এবং তার নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে।
এরআগে গত ১২ জানুয়ারী আমানউল্যাপুর ইউনিয়নের একেজি ছায়েদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনীর হামলায় ছাত্রলীগ যুবলীগের অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এরমধ্যে যুবলীগ নেতা মুন্সি প্রকাশ বঙ্গ মুন্সি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। এখনো তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ চৌধুরী জানান, শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৪ জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আরমান হোসেন এ
ঘটনায় শিবিরকর্মীদের দায়ী করে তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
Leave a Reply