বিশেষ প্রতিনিধি :
নোয়াখালী সদর উপজেলার চরমটোয়া ইউনিয়ানের পশ্চিম ভৌমপুর গ্রামের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১০ জন আহত। ৪জন গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়ে হাসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালীর সদর উপজেলার চরমটোয়া ইউনিয়ানের পশ্চিম ভৌমপুর গ্রামের নোয়াবড়ী মো. মমিন, মমিনের ছেলে মণির, রব্বী, আকবর ও হেদায়েত উল্যা, হেদায়েত উল্যার ছেলে খোকন, লিটন এবং চৌধুরী মেইকারসহ ১৫/২০জন সন্ত্রাসী কাদায়া হামলা করে একই গ্রামের বানিয়াবাড়ীর আবদুর রব মিয়ার ছেলে জাকের হোসেন, জাকের স্ত্রী ইয়াছমিন, জাকের ছেলে রহমান, মেয়ে জিনু আক্তার, আজিদ মিয়ার ছেলে শাহাজাহান, বাদশা মিয়া, মেয়ে নেহার আক্তার এবং শাহালাম মিয়ার মেয়ে আয়েশা আক্তারসহ ১০জনকে পিটিয়ে আহত করে। আহতেদের শুরু চিৎকার আশেপাশে লোকজন এসে আহতেদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপিটালে বর্তী করে।
এ ঘটনায় আহত জাকের হোসেন জানান, আমার স্ত্রীর নামে মোস্তাফা ছিদ্দিকগং থেকে গত ৩ মাস আগে ৫শতাংশ জমি খরিদ সুত্রে মালিক হই। উক্ত জমিন মোস্তাফা ছিদ্দিক আমাকে দখল বুঝাইয়ে দে। সে থেকে আমি উক্ত জমিন দখল ভোগ করিয়া আসিতেছি। ঘুনি ঝড়ে আমার খরিদ করা জমিনের উপর পুরানা ঘর বাতাসে পড়ে যায়। উক্ত ঘর খানা আমার স্ত্রী, পুত্র, মেযেসহ জমিনের এক পাশ্বে রাখতে গেলে মমিন, মণির আকবর, রব্বী, খোকন, লিটন এবং চৌধুরী মেইকারসহ ১৫/২০ আমার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে এলোপাথাড়ি মারধোর করে। তাদের শুর-চিৎকার শুনে আমি আগাইয়া আসলে আমাকো এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। খবর শুনে পরে আমাদের বাড়ির শাহাজাহান, বাদশা মিয়া, নেহার আক্তার, আয়েশা আক্তার আসিলে তারা তাদেরকে পিটাইয়া আহত করে। তারা আমাকে মেরে পেলের হুমকি দিয়ে চলেযায়। পরে আশেপাশে লোকজন আসিয়া আমাদের উদ্ধার করে হাসপিটালে বর্তী করে। এসময় তারা আমার কাছে থাকা নগদ ৬৫হাজার টাকা, ২টি মোবাইল, আমার স্ত্রীরি মোবাইল, স্বর্ণ চেইন কানের ধুল, ছেলের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় যায়।
এই ব্যাপারে থানা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জাকের হোসন জানান।
Leave a Reply