বিশেষ প্রতিনিধি :
নোয়াখালী সদর উপজেলার ২০নং আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মাইছছরা গ্রামে সৌদি প্রবাসী আবদুর রহিমের ক্রয়কৃত জমি দখল নিতে চায় একই এলাকার ভুমিদস্যু শাহআলম। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মামলা হামলার ঘটনাও ঘটেছে। সমস্যার সমাদানও পাচ্ছেন না প্রবাসে থাকা রহিম ও তার পরিবার। তারা শাহআলমের কবল থেকে মুক্তি পেতে চায়।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, প্রবাসী আবদুর রহিম ২০০৩ সালে একই ইউনিয়নের মমিন উল্যা ও আয়শা বেগমের কাছ থেকে ১ একর ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করে দখল বুঝে নেয়। বর্গা করে ঐ জমি চাষাবাদ করছেন রহিমের ভাতিজী জামাই হোরণ মিয়া। স্থানীয় মামলাবাজ ও ভুমিদস্যূ শাহআলমের বাড়ির পার্শে ঐ জমি হওয়ায় তিনি ভুয়া দলিল সৃজন করে ঐ জমি নিজের কেনা বলে দাবি করে । এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দন্দ সৃষ্টি হয়। অনেকবার জমি দখলের চেষ্টা করেন শাহআলম। এ বিষয়ে আবদুর রহিম আদালতে মামলা করলে আদালত আবদুর রহিমে পক্ষে রায় দেয়। শাহআলম তাও মানছেন না এরপর উকিল শালিসেও রহিমের পক্ষে সীদ্ধান্ত হয়। সর্বশেষ ইউপি কার্যালয়ে উভয় পক্ষের কাগজ পর্যালোচনায় ও আবদুর রহিমের পক্ষে রায় দেন গ্রাম আদালত। স্থানীয় ইয়াছিন মেম্বার কাগজ পর্যালোচনা করে চেয়ারম্যানের নির্দেশক্রমে পরিমাপ করে রহিমকে জমি বুঝিয়ে দেয়। এতো কিছুর পরও ভুমিদস্যূ শাহআলম কোন সীদ্ধান্তকেই মানতে চায় না শাহআলম। একের পর এক সমস্যা সৃষ্টি করছে শাহআলম কখনও জমির সীমানায় গাছ লাগাচ্ছে কখনও জোর পুর্বক মাটি কাটার চেষ্টা করছে। তিনি এসব বিষয়ে প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলী হায়দার বকসী জানান, উভয়ে উভয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমি ডেকে মামলা তুলে উভয়কে নিয়ে বসেছি এবং ইয়াছিন মেম্বারকে দায়িত্ব দিলে জমি আবদুর রহিমের প্রমাণিত হয়। জমি আবদুর রহিমের, খতিয়ান রহিমের এবং জমি দখল ও রহিমের শাহআলম অহেতুক ঝামেলা করে।
Leave a Reply