প্রতিদিনের খবর ডেস্ক :
নোয়াখালীর হাতিয়া মধ্যযুগীয় কায়দায় নৃশংসভাবে নববধূকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আরো ৩ আসামি পলাতক রয়েছে।
শনিবার বিকালে আটক দুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় নিহতের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে শনিবার নিহতের স্বামী,শাশুড়ি,ননদসহ ৫জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলো- নিহতের শাশুড়ি চানন্দি ইউনিয়ের রহমতপুর গ্রামের মেস্তরী বাড়ি ওমান প্রবাসী বাহার মেস্তরীর স্ত্রী মিনারা বেগম (৪৫) ও তার মেয়ে নিহতের ননদ মোসাম্মৎ সুমি আক্তর (২৫)।
নিহত গৃহবধূ শাবনুর আক্তার (১৯), হরণি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বয়ারচর নবীনগর গ্রামের নূর ইসলাম বুদ্ধির মেয়ে।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম (৩৫) জানান, গত তিন মাস আগে উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নের নলেরচরের রহমতপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী বাহার মেস্তরীর ছেলে ফরিদ উদ্দিন (২৪)’র সাথে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুকের কিছু টাকা বাকী ছিল। বিয়ের পর থেকে ওই যৌতুকের টাকার জন্য ও ঘরের আসবাবপত্রের জন্য শাবনুরকে একাধিকবার মারধর করে স্বামী। শুক্রবার মোরগকে খাদ্য দেওয়া নিয়ে নিহত শাবনুরের সাথে তার শাশুড়ি ও ননদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে এ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী, শাশুড়ী,ননদসহ শাবনুরকে বেধড়ক পিটিয়ে ঢাক পেটে লাথি দিয়ে গুরুত্বর জখম করে হত্যা করে। এক পর্যায়ে শাবনুর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা গেলে পথিমধ্য থেকে পুনরায় বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে নিহতের স্বামী মরদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে প্রচার করে শাবনুর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এক পর্যায়ে নিহতের খালু আবুল কালাম ও তার খালা শাবনুরের শ্বশুর বাড়িতে এলে নিহতের স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম, তার মেয়েকে হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার চানন্দি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নলেরচরের রহমতপুর গ্রামের বাহার মেস্তরীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
হাতিয়া থানার অফিসার ইনাচর্জ (ওসি) আবুল খায়ের জানান, এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ২আসামিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।
Leave a Reply