প্রতিদিনের খবর ডেস্ক :
নোয়াখালীতে নার্সকে তুলে নিয়ে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে রাতভর নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি ওই নারীর সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন বাপ্পিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার মামলা হওয়ার পরপরই মধ্যরাতে কবিরহাটের নবগ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ইসমাইল হোসেন বাপ্পী কবিরহাট উপজেলার নবগ্রাম গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
এ ব্যাপারে সুধারাম থানার ওসি নবীর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুধারাম থানায় এজাহার করেন ওই নারী। মামলা নং ১০। মামলায় তার সাবেক স্বামীসহ মোট চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পরে পুলিশ মধ্যরাতের দিকে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে ইসমাইল হোসেন বাপ্পিকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ : মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভিকটিম ওই তরুণী জেলা শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিক্ষানবিশ নার্স হিসেবে কর্মরত। গত বুধবার সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার জন্য মাইজদী পেট্রোল পাম্পের সামনে সিএনজিচালিত অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় একটি অটো আসলে তাতে তিনি উঠেন। অটোটি একটু সামনে গেলে দুজন যাত্রী সামনের সিটে ওঠেন। কিছু দূর যাওয়ার পর তার সাবেক স্বামী ও আরও একজন ভিকটিমের দুপাশে উঠে বসেন। এরপর তাকে শারীরিক নির্যাতন শুরু করে তার সাবেক স্বামী বাপ্পী ও তার সহযোগী রহিম (২৪)। এক পর্যায়ে চোখ-মুখ চেপে ধরে তাকে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। অটো থেকে নামার পর ওই তরুণী বুঝতে পারেন এটি তার সাবেক শ্বশুরবাড়ি। ফাঁকা বাড়িতে বাপ্পির বাবা-মা কেউই ছিলেন না। সেখানে নিয়ে তাকে রাতভর নির্যাতন করেন তার সাবেক স্বামী। রাতে নেশা করে বাপ্পি ও তার ২ সহযোগী তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু নির্যাতন সহ্য করে ধর্ষণ থেকে রক্ষা পান ওই তরুণী। বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে অভিযুক্তরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে পালিয়ে চাচার বাসায় এসে আশ্রয় নেন ভিকটিম। পরে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
ভিকটিমের চাচি জানান, মেয়েটি ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছে। তার মা অন্যত্র বিয়ে করেছে। এরপর নানির কাছেই বড় হয়েছে সে। নবগ্রামে নানির কাছে থাকা অবস্থায় বখাটে বাপ্পির নজরে পড়ে সে। বাপ্পি অনেকটা জোর করে অপ্রাপ্ত বয়সেই তাকে বিয়ে করে। তিনি আরও বলেন, বিয়ের পর বাপ্পি সব সময় মেয়েটিকে নির্যাতন করত। বাপ্পির মা, ভাই-বোনও তাকে মারধর করতো। দুমাস আগে তাদের ডিভোর্স হয়
Leave a Reply