বিশেষ প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ছোট ভাই সেনা সদস্য (অবঃ) দেলোয়ারকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ৫ মাস পর গ্রেপ্তার হয়েছে পলাতক বড় ভাই সেনা সদস্য এমরান হোসেন (অবঃ)। বুধবার রাতে চরমোহনা ইউপির উত্তর রায়পুর গ্রামের এক স্বজনের বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। বৃহস্পতিবার এমরান হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত দেলোয়ার ও গ্রেপ্তারকৃত এমরান একই এলাকার মৃত ফজলুল করিমের ছেলে।
পুলিশ জানান, চলতি বছরের ১৭ জুলাই দুপুরে দেলোয়ার তার বসতঘরের পাশ থেকে আম পাড় যান। এসময় এমরান ও তার ছেলে ফোরকান বাঁধা দেয়। এতে দুই পরিবারে মধ্যে দা, লাঠি ও রড নিয়ে মারামারি হলে দেলোয়ার মারাত্নক জখম। তাকে উদ্ধার করে চট্রগ্রাম একটি হাসপাতালে ভর্তি করলে ১২দিন পর তিনি মারা যান। পরে দেলোয়ারের লাশ বাড়ীতে এনে এমরানসহ তার পরিবার তাড়াতাড়ি মাটি দেয়ার চেষ্টা করলে তার ছেলেরা ও গ্রামবাসী বাঁধা দিয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ দেলোয়ারের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করেন। এঘটনায় নিহত দেলোয়ারের ছেলে বাদি হয়ে তারই চাচা এমরানসহ ৫ জনকে আসামী করে থানায় হত্যা মামলা করেন।।
এঘটনায় অভিযুক্ত এমরান মিয়া বলেন, দুই ভাই’র পরিবারের মধ্যে আম পাড়া নিয়ে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে লাঠির আঘাতে সে যে মারা যাবে বুঝতে পারি নাই। নিজের দায়ীত্বে চিকিৎসা দিয়েছিলাম।
রায়পুর থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, ঘটনা ও হত্যা মামলার পর সাবেক সেনা সদস্য এমরান মিয়া সহ অন্য আসামীরা পলাতক ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমরানকে গ্রেফতার করতে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদেরকেও চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply