প্রতিদিনের খবর ডেস্ক :
ঝিনাইদহের মহেশপুরে এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ধর্ষক ওই পল্লী চিকিৎসকের নাম সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
রবিবার সকালে উপজেলার সেজিয়া বাজারে নাজ ফার্মেসিতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার শিকার স্কুলছাত্রীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষক পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম মহেশপুর উপজেলার নেপা ইউনিয়ানের সেজিয়া গ্রামের খোদাবন্দীপাড়ার নুর মোহাম্মাদের ছেলে। স্কুলছাত্রীর মা জানান, কয়েক দিন আগে তার মেয়ের জ্বর আসে। জ্বর ভালো না হওয়ায় তার বাবা শনিবার রাতে ভাতিজা সাইফুল ইসলামের সেজিয়া বাজারের নাজ ফার্মেসিতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে স্কুলছাত্রীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে আনে।
সাইফুল তার চাচা আব্দুল আজিজকে বলে সকালে পাঠিয়ে দেবেন আরও চিকিৎসা দেব। রবিবার সকালে সাইফুলের কথামতো তার পিতা চিকিৎসার জন্য মেয়েকে ফার্মেসিতে পাঠিয়ে দেন। স্কুলছাত্রী সেখানে গেলে সাইফুল ইসলাম তার শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করেন ও একটি ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। এরপর স্কুলছাত্রী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সাইফুল তাকে ধর্ষণ করে।
স্কুলছাত্রীর পরিবারের লোকজন তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।সুত্র :ইত্তেফাক
Leave a Reply