শিরোনাম:
চন্দ্রগঞ্জে যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল চন্দ্রগঞ্জে সামাজিক উদ্যোগে ফয়েজের কর্মসংস্থান লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত। প্রতিদিনের খবর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি। প্রতিদিনের খবর বেগমগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অম্যান্য করে সম্পত্তি জবর দখল। প্রতিদিনের খবর পাঁচপাড়া আদর্শ সমাজ কল্যাণ পাঠাগার মিনিবার ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন হানিফ মিয়াজীর বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন চন্দ্রগঞ্জে নিরাপদ সড়ক চাই উপলক্ষে বণার্ঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা চন্দ্রগঞ্জে “শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের” নতুন কার্যালয় উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের মতবিনিময় সভা

মেঘনার গর্ভে বিলীন হচ্ছে কোটি টাকার সয়াবিন

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, মার্চ ১০, ২০২১
  • 126 Time View

বিশেষ প্রতিনিধি  : 

মেঘনার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কিছুতেই থামছে না এ ভাঙন। প্রতিনিয়ত নদীর গর্ভে যাচ্ছে বসতি ঘরবাড়ি।চলতি মৌসুমের সয়বিনসহ নানা প্রজাতের উঠতি ফসল ও বসত বাড়ি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। টানা ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের পরিবারগুলো।

লক্ষ্মীপুর জেলাকে সয়াল্যান্ড নামে ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে। জেলার কমলনগর ও রামগতির বেশ কয়েকটি গ্রামের কোটি টাকার সয়াবিন নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ফসলি মাঠ ভেঙে যাওয়ায় দিশেহারা এ অঞ্চলের কৃষকরা।

সরোজমিনে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর কালকিনি, সাহেবেরহাট, চর ফলকন, চর লরেন্স ও পাটারিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি ভাঙছে।

এদিকে রামগতি উপজেলার রামদয়াল, বালুরচর, বাংলাবাজার, চরগাজী, চর আলগী, সেবাগ্রাম, বড়খেরী, চর রমিজ ও চর আবদুল্লার কোটি টাকার সয়াবিন নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

এসব এলাকায় বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে কৃষকের ফসল ও স্থানীয় বসতি ঘরবাড়ি রক্ষার দাবি তাদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত ১০ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে উৎপাদিত সয়াবিনের মধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলায় উৎপাদন হচ্ছে প্রায় ৭০ ভাগ সয়াবিন। গত বছর ৪৮ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদ হয়েছে, উৎপাদন হয়েছে ৮৬ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন। যার বাজার মূল্য প্রায় সোয়া ৩০০ কোটি টাকা।

চলতি মৌসুমে সয়াবিন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৩ হাজার ২৩৭ হেক্টর জমিতে। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৪০ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯১৭ মেট্রিক টন। কিন্তু আবাদকৃত জমি অনুযায়ী সম্ভাব্য উৎপাদন ৭৭ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন।

এর আগে ২০১৭ সালে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মেঘনা নদীতে সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ওই বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। সেনাবাহিনীর ১৯ ইঞ্জিনিয়ার কনসক্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা কাজটি সম্পন্ন করেছেন। নির্মাণের পর এক বছর পর্যন্ত সেনাবাহিনী বাঁধটি রক্ষণাবেক্ষণ করেছে। ওই তিন কিলোমিটার এলাকা এখন আর ভাঙছে না।

লক্ষ্মীপুর-৪(রামগতি-কমলনগর) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) আব্দুল মান্নান বলেন, রামগতি মেঘনার পাড়ে অবশিষ্ট অংশে বাঁধের ফাইল পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ে আছে। একনেকে পাশের অপেক্ষায়। নদী শাসনের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষকে রক্ষা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন এমপি।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ বলেন, মেঘনার ভাঙন থেকে এ অঞ্চলকে রক্ষা করার বিষয়ে আমাদের আন্তরিকতার কোন কমতি নেই। সাড়ে তিন কিলোমিটার বাঁধ হয়েছে। অবশিষ্ট অংশের বাধঁ দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রনালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares