বিশেষ প্রতিনিধি:
সার্ভার জটিলতা, প্রিন্টিং সমস্যা ও লকডাউনের কারণে নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে যথাসময়ে মিলছেনা পাসপোর্ট। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। দিন দিন জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি।
জানা গেছে, প্রবাসী অধুষ্যিত জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার গাবুয়ায় অবস্থিত নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসর্পোট অফিসে গড়ে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন হাজার পাসপোর্টের আবেদন জমা পড়ে। সরকারি নিয়মে সাধারণ পাসপোর্ট ২১ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে পেতে ৩ হাজার ৪৫০ টাকা আর জরুরি প্রয়োজনে পাসপোর্ট ১১ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পেতে ৬ হাজার ৯০০ টাকা সরকারী ফিস ব্যাংকে মজা দিয়ে গ্রাহকরা আবেনদ করেন। কিন্তু জরুরী প্রয়োজনের পাসপোর্ট এক-দেড় মাসেও পাওয়া যাচ্ছেনা। আর সাধারণ পাসপোর্ট পেতে সময় লাগছে দুই থেকে তিন মাস। আবার অনেকে ছুটিতে এসে পাসপোর্ট নবায়ন করতেও একই ভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এতে অনেক প্রবাস ফেরত যথা সময়ে বিদেশও যেতে পারছেনা। আর যারা নতুন করে বিদেশ যাবে তাদের অনেকে বিসার মেয়ার শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই পাসপোর্টের জন্য গ্রাহকরা পাসপোর্ট অফিসে ভিড় জমাচ্ছেন। দিন দিন এই জটিলতা আরো বাড়ছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর থেকে পাসপোর্ট অফিসে আসা দুলাল মিয়া জানান, আমার পুত্র বিদেশ যাওয়ার জন্য একজনের সাথে কথা ফাইনাল হয়ে গেছে। তারা দ্রুত পাসপোর্ট চাচ্ছে। আমি জরুরী ই-পাসপোর্ট করার জন্য সরকারী যথাযথ নিময়ে আমার পুত্রের আবেদনটি জমা দিয়েছি। কিন্তু দীর্ঘ দেড় মাসেও আমি পাসপোর্ট পাইনি। অফিসে যোগাগোগ করলে বলে-আপনার ছেলের পাসপোর্ট প্রিন্টং-এ আছে, সহসায় চলে আসবে। কিন্তু সময়তো চলে যাচ্ছে।
একই কথা জানান, কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী থেকে আসা আবদুর জব্বার, নোয়াখালী সদরের আন্ডারচর থেকে ইব্রাহিম খলিল, চন্দ্রগঞ্জ থেকে আসা নুর মোহাম্মদসহ অনেকে।
এদিকে হাতিয়া থেকে আসার মোস্তফা ইসলাম বলেন, ‘আমি অনলাইনে ই-পাসপোর্টের আবেদন করে জমা দিতে গেলে তারা আমার আবেদন জমা নিতে চায়নি। এটা-ওটা ভুল হয়েছে বলে আমাকে সারাদিন ঘুরিয়েছে। এভাবে প্রতিদিনই মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এ ব্যাপরে নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্টে অফিসের উপ-পরিচালক মহির উদ্দিন সেখ বলেন, সার্ভার জটিলাত, প্রিন্টিং সমস্যা ও সরকারের ধারাবাহিত লকডাউনের কারণে অনেক সময় পাসপোর্ট আসতে দেরি হয়।
এছাড়া আবেদনে তথ্যগত ভুল, পুলিশ প্রতিবেদন দেরিতে আসাসহ নানা কারণেও গ্রাহকরা যথা সময়ে পাসপোর্ট পায় না। আমরা পরিস্থিতির উন্নতি করার চেষ্টা করছি ।
Leave a Reply