বিশেষ প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ মাদ্রাসায় খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু ও ১৭ জন মাদ্রাসা ছাত্র অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার নিহত শিশুর জেঠা মো.আহসান উল্যাহ বাদী হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে হত্যা আইনে এ মামলা দায়ের করেন। একই দিন বিকেলে ওই মামলায় আটককৃত ৬ শিক্ষককে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রারাসা কমপ্লেক্স ও এতিম খানার শিক্ষক হাফেজ মো.দাউদ ইব্রাহীম (২৪) মাওলানা মো.মাইনুদ্দিন (২৭) মাওলানা জহিরুল ইসলাম (৩০) হাফেজ মো.মিজানুর রহমান (১৯) হাফেজ মো. বেলাল হোসেন (২৩) হাফেজ মো.হাসানুদ্দিন (২৮)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত নুর হাদী দেড় পূর্বে ওই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। লকডাউনে মাদ্রাসা ১৪ দিন বন্ধ থাকার পর গত শনিবার তাকে তার মা মাদ্রাসায় দিয়ে আসে। মহামারীকালীন সময়ে মাদ্রাসা খুলে দিয়ে ছাত্রদের খাদ্য প্রস্তুত, সংরক্ষণ,পরিবেশনে অমনোযোগিতার কারণে খাদ্য বিষক্রিয়ায় এবং অসুস্থ ছাত্রদের যথাসময়ে সুচিকিৎসার অবহেলার দরুন মাদ্রাসা ছাত্র নিশান মৃত্যু হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, গত সোমবার (২ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার ৭নং একলাশপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রারাসা কমপ্লেক্স ও এতিম খানার রাতের খাবারের খাদ্যে বিষক্রিয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুর হাদী নিশান (৯) উপজেলার ৭নং একলাশপুর ইউনিয়নের পুর্ব একলাশপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে। সে মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রারাসা ও এতিম খানার নূরানী বিভাগের প্রথম ছাত্র ছিল।
বেগমগঞ্জ থানার কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার জানান, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরও জানান, আটককৃত আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply