বিশেষ প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী মাহাদি মাহবুবুল মাহিকে (২১) গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মাহি উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের তপন মেম্বার বাড়ির তপন মেম্বারের পুত্র এবং চৌমুহনী শহরের ডিবি রোডের নুর জাহান ইলেট্টনিক্স এর মালিক ইশতিয়াক আলম সোহানের ড্রাইভার।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ আগষ্ট সকালে উপজেলার হাজীপুর গ্রামের বাসিন্ধা বর্তমানে নরোত্তমপুর মৃদ্দা বাড়ির ভাড়াটিয়া চৌমুহনীর কলেজে রোডের অবস্থিত একটি হাই স্কুলের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ১৪ বছরের এক কিশোরী এসাইমেন্টের জন্য স্কুলে গেলে স্কুল গেইট থেকে তাকে অপহরণ করে মাহিসহ তার
সাঙ্গপাঙ্গরা। এরপর ওই শিক্ষার্থীকে চৌমুহনীর একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় কিশোরী মা বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মাহিকে আসামী করে
মামলা দায়ের করেন। যার নং-৫০, তাং-২২-৮-২০২১ইং। ঘটনার পর থেকেই এলাকা থেকে পালিয়ে যায় ধর্ষক মাহি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলামের নির্দেশে ধর্ষক মাহি ও সাঙ্গপাঙ্গদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। এরিমধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার চৌমুহনীর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জামাল সঙ্গীয় ফোর্সসহ চট্টগ্রামের বন্দর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহিকে তার বোনের বাসা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, ব্যবসায়ী সোহানের সেল্টারে মাহি এলাকায় একটি কিশোরগ্যাং গড়ে তুলেছে। সোহানের প্রভাব খাঁটিয়ে তারা এলাকায় নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে।
মামলার বাদি কিশোরীর মা জানান, আসামী মাহি গ্রেফতার হলেও একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে এবং মামলা তুলি নিয়ে মাহির সাথে আমার মেয়েকে বিয়ে দেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে নুর জাহান ইলেট্টনিক্স এর মালিক ইশতিয়াক আলম সোহানের সাথে কথা বলতে মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার জানান, আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে।
Leave a Reply