বিশেষ প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) স্কুলের রাস্তা থেকে অপহরণ করে ৩ মাস আটকে রেখে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।রোববার (১৪ নভেম্বর) ওই কিশোরী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
এরপর মামলা তুলে নিতে ওই ছাত্রীর মুঠোফোনে ফোন দিয়ে হুমকি দেয় ধর্ষকরা। হুমকিতে ধর্ষণের ছবি, ভিডিও ভাইরাল করার কথা বলা হয় বলে জানা গেছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আগে থেকেই ওই সন্ত্রাসী গ্রুপ স্কুলে যাওয়া–আসার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করত। এ ব্যাপারে সে তার খালাকে জানালে সন্ত্রাসীরা আরও ক্ষেপে যায়। ২৬ আগস্ট সকাল ১০টায় ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার সময় উপজেলার নরোত্তমপুর গ্রামের আবদুল্লা আল মামুন (২৮), একই গ্রামের কামাল (৪৬), নাছের (২৫), হাজীপুর পাঁচ বাড়ির ফরহাদ (২৭) তাকে অপহরণ করে সিএনজিযোগে সেনবাগ থানার ছাতারপাইয়ার অজ্ঞাত ব্যক্তির বাড়িতে আটক করে রাখে।আবদুল্লা আল মামুন ও কামাল তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণের পর ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় বের করে এনে সোনাইমুড়ি থেকে লাল সবুজবাস যোগে ঢাকায় নিয়ে পরবর্তীতে টাঙ্গাইল শহিদপুর গ্রামের এক বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।
কামাল, নাছের ও ফরহাদ পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং স্থানীয় অজ্ঞাত যুবকদের এনেও তাকে ধর্ষণ করায়। সে অজ্ঞান হয়ে গেলে ওষুধ খাইয়ে একটু সুস্থ করে আবারও ধর্ষণ করত।গত ৯ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ওই ছাত্রী কৌশলে পালিয়ে তারবাড়ি চলে আসে এবং একটু সুস্থ হয়ে ১৪ নভেম্বর (রোববার) বেগমগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করে।
জেলা সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন বলেন, বাদী যখন আমাকে দিয়ে এজাহার লিখাচ্ছিলেন তখনও ধর্ষকরা ভিকটিমের মোবাইলে কাধিকবার কল করে এ জঘন্য ঘটনার বিচার হওয়া দরকার।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রন বলেন, এঘটনায় মামলা করা হয়েছেবিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর তাই সব কিছু মাথায় রেখে সামনে এগুচ্ছে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply