প্রতিদিনের খবর ডেস্ক :
আকাশের (ছদ্মনাম) সঙ্গে একই এলাকার আলমগীর হোসেনের (৩০) ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বন্ধুত্বের সম্পর্ক থেকে আলমগীর প্রায়ই আকাশদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করে। আকাশের রয়েছে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছোট বোন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত নয়টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে শৌচাগারে যায় আকাশের বোন। এ সময় ওত পেতে থাকা আলমগীর ও তার সহযোগী মো. রাসেল (২৮) মিলে আকাশের বোনের মুখ চেপে ধরে বাড়ির পেছনে ধানক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায়। এ ঘটনায় রোববার রাতে আলমগীর ও রাসেলকে আসামি করে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা করেন নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মা। মামলার অভিযোগ সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে মেয়েটিকে ধানক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার রাতেই আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার অভিযুক্ত আলমগীর নোয়াখালী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সাইদীন নাহি তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুস সামাদ।
ওসি আবদুস সামাদ বলেন, আলমগীর ও তার সহযোগী মো. রাসেল মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন। পরে আদালত আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওসি আরও বলেন বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই তারা তার চিকিৎসা এবং ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। রোববার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ ছাড়া রোববার রাতে অভিযুক্ত প্রধান আসামি আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
Leave a Reply