বিশেষ প্রতিনিধি:
চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের ২৬ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ্যামল কান্তি চক্রবর্তী ফটিক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের সভাপতি নুরুল আমিন, হাজিরপাড়ার সভাপতি শামছুল আলম বাবুল, চন্দ্রগঞ্জ থানা কমিটির সদস্য গোলজার মোহাম্মদ, উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বাবুল মোল্লা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল হাসান রনি, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন কমিটির সদস্য আবদুল হালিম মাস্টার, ফজলুর রহমান ঢালি, মোক্তার হোসেন বিপ্লব, উত্তর জয়পুরের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু ছৈয়দ, সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সভাপতি ফিরোজ মোহাম্মদ বাকি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন, সোহরাব হোসেন রুবেল পাটওয়ারী, দিঘলি ইউনিয়ন কমিটির সদস্য নবিউর রহমান মুকুল, ইসমাইল হোসেন, আলতাফ হোসেন, কুশাখালির সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ও সদস্য তিতু মিয়া টিটু।
একই চিঠিতে জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া, দত্তপাড়ার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, কুশাখালি ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য আবদুল করিম, কুশাখালী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু চৌধুরী, সদর থানা কৃষক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমানকে বহিষ্কারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে ২৬ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে নৌকার প্রার্থীকে জেতাতে দিনব্যাপী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কমিটির সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর সভাপতিত্বে এতে সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম, রামগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতি সফিক মাহমুদ পিন্টুসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের যেসব নেতারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদের দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ্যামল কান্তি চক্রবর্তী ফটিক বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে উল্লেখিত নেতারা গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করেছেন। এজন্য আওয়ামী লীগ থেকে ১৯ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই চিঠিতে অঙ্গসংগঠনের সাত নেতাকে বহিষ্কারের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply