বিশেষ প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নে জাহানারা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ পারিবারিক কলহের জেরে জাহানারাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী মো. হারুন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হারুনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গয়েছপুর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জাহানারা বেগম ওই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী হারুনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩০-৩২ বছর আগে কাদিরপুর ইউপির ঘাটলা গ্রামের জাহানারার সাথে একই ইউপির গয়েছপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী হারুনের বিয়ে হয়। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে বিদেশ থাকে। গত এক মাস আগে কুয়েত থেকে দেশে আসেন হারুন।
নিহতের ভাই মোহাম্মদ মিঞা অভিযোগ করে বলেন, বিদেশ থেকে আসার পর থেকে জাহানারাকে একাধিকবার মারধর করে জখম করে হারুন। গত কয়েকদিন ধরে হারুন আবার বিয়ে করার জন্য জাহানারাকে চলে যেতে বলে। আপোষে না গেলে তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় হারুন। এসব ঘটনার জেরে বুধবার রাতের কোন এক সময় ঘরের ভেতরে জাহানারাকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ারত অবস্থায় পিটিয়ে হত্যা করে। পরে পাশের কক্ষে নিয়ে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁছিয়ে ঝুলিয়ে রাখে হারুন। তার শরীরে প্রচুর আঘাতের চিহৃ রয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান তিনি।
নিহতের ননদ (হারুনের বোন) নাসিমা আক্তার বলেন, তার ভাই দেশে আসার পর থেকে আবার বিয়ে করার জন্য জাহানারাকে মারধর করে চলে যেতে বলে। এসব বিষয়ে আমাদের পরিবারের লোকজন তাকে নিষেধ করলেও সে কারো কথা শুনেনি। বুধবার গভীর রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া অবস্থায় তাকে মারধর করলে পায়খানা-প্রস্রাব করে দেয় জাহানারা। পরে তার মৃত্যু হলে তাকে ঝুলিয়ে রাখে হারুন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার মৃত্যুটি নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। স্থানীয়দের মতে বিষয়টি হত্যা মনে হওয়ায় নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply