বিশেষ প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরে নতুন করে আবির্ভূত হয়েছে নুরআলম বেচু বাহিনী। এই বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। নারী কেলেঙ্কারি, জবর দখল, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে এখন আলোচনায় রয়েছে বেচু ও তার বাহিনী। সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের ত্রাস হিসেবে খ্যাত এ বাহিনীর
সদস্য সংখ্যা এখন ৬০-৭০ জন।
মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) দুপুরে সদর উপজেলার মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে একাধিক ভুক্তভোগী এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দীর্ঘ দিন থেকে স্থানীয় নবী তাহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গফুরের ছেলে নুরআলম বেচু নিজেকে বাহিনী প্রধান পরিচয় দিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তিনি নারী কেলেঙ্কারি, জমি জবর
দখল, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সাধারণ মানুষদের হয়রানি ও চাঁদাবাজি, অশালীন আচরণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। তার ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসী।
ভুক্তভোগিরা জানায়, তার ভয়ে স্থানীয় শফি কাজী ও তার পরিবার, সখিনা বেগম, আব্দুর রব ড্রাইভারের পরিবারসহ অসংখ্য মানুষ এলাকাছাড়া হয়েছেন। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ২০০১ সালে বেচু সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সুস্থ্য হয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন। সোমবার দিবাগত রাতে বিবি কুলসুম ও তার যুবতী কন্যার উপর
নির্যাতন (মারধর) চালায় বেচু ও তার বাহিনীর সদস্যরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
সম্প্রতি তার অপকর্মের প্রতিবাদ করায় সে অখ্যাত একটি অনলাইন মিডিয়ায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে উল্টো অপপ্রচার চালায় বলে জানান তারা। এমন পরিস্থিতিতে তার বিচারের দাবি জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজকরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- হাজিরপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাসুদ রানা, ভুক্তভোগী চন্দ্রগঞ্জ থানা সেবকলীগের যুগ্ম সম্পাদক সালাহ উদ্দিন টিটু, ইউপি সদস্য মিঠু, কাজী আনোয়ার হোসেন, বণিক সমিতির সম্পাদক মো. ইস্রাফিল, বিবি কুলসুম প্রমুখ।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত নুরআলম বেচু বলেন- তার কোনো বাহিনী নেই। পরিকল্পিতভাবে সুবিধাভোগীরা তাকে এলাকা ছাড়ার পাঁয়তারা
করছে বলেও পাল্টা অভিযোগ করেন বেচু।
Leave a Reply