বিশেষ প্রতিনিধি:
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা চোর চক্রের ৯ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ১৫টি ১২ ভোল্টের ব্যাটারি এবং চোরাই অটোরিকশা বিক্রির ১৬ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
রোববার রাতের বিভিন্ন সময়ে গোপন সংবাদেন ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চৌমুহনী পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতাররা হলেন— জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার করিমপুর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলু ব্যাপারী বাড়ির মৃত. আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. মঈন (৩২), একেই বাড়ির শাহ আলমের ছেলে পলাশ (৩৬), আবদুল গফুরের ছেলে কামরুল হাসান টিপু (২৬), মৃত. আমিনুল হকের ছেলে আবদুল আরশাদ (২৯), খালপাড়ের আবুল বাশারের ছেলে মো. মারুফ (২৬), হাজী সর্দার বাড়ির গোলাম মোস্তফার ছেলে সোহেল (৩৯), আলী মিয়ার বাড়ির নুর মোহাম্মদের ছেলে ভুট্টু (৪০), লাতু হাজী বাড়ির মৃত. শফিউল্লাহর ছেলে শাহাদাত হাসন রিপন (৪৫), ও মৃত. আবুল কালামের ছেলে আহসানুজ্জামান ফয়সাল (৩৫)।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ জুন দুপুর ২টায় অটোরিকশাচালক মো. গিয়াস উদ্দিন (৪০) চৌমুহনী পৌরসভার ডেল্টা গেইট এলাকা থেকে মোরশেদ নামে একজনকে ভাড়ার বিনিময়ে চৌমুহনী পৌরসভার সামনে নিয়ে যান। সেখান থেকে আসামি মঈন অটোরিকশা চালক গিয়াস উদ্দিনকে আলীপুর কন্ট্রাক্টর মসজিদের সামনে নেওয়ার জন্য ভাড়া করেন। দুপুর আড়াইটায় সেখানে পৌঁছালে মোরশেদকে দেখতে পান গিয়াস উদ্দিন। একই স্থান থেকে আরও ৩ জন পৌরসভার সামনে যাবে বলে গিয়াস উদ্দিনকে অপেক্ষা করতে বলে মঈন। এসময় অটোরিকশা চালক গিয়াস উদ্দিন প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে মসজিদ সংলগ্ন টয়লেটে গেলে আসামি মঈন, ফারুক, সোহেল, পলাশ ও মোরশেদ তার অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় অটোরিকশা চালক গিয়াস উদ্দিন র্যাব ক্যাম্পে অভিযোগ করলে অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব চোরচক্রের সন্ধান পায় এবং প্রথমে মো. কামরুল হাসান টিপুকে ও পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি ৮ জনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় জড়িত অপর আসামি মোরশেদ পলাতক রয়েছে। গ্রেফতাররা আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ও দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষীপুর জেলা থেকে অটোরিকশা চুরি করে গ্যারেজে এনে তা রঙ পাল্টিয়ে অন্য জায়গায় বিক্রি করতো বলে র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে অটোরিকশা চালক মো. গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কার্যালয়ের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন।
Leave a Reply