পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃত ৩জন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তারা বিভিন্ন সময় দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে। নিজেদের মধ্যে দলীয় আধিপত্য ও কোন্দলের জেরে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল বাশারকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি কুপিয়ে এবং জবাই করে হত্যা করে। গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে তারা তাদের সোর্স রুবেলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত কয়েকদিন ধরে হাসিবুল বাশারের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে এবং ঘটনার দিন রুবেলের তথ্যের ভিত্তিতে হাসিবুলের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।
এসপি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের পর হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী গজারিয়া খালে পেলে দেয় তারা। গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সকালে ওই খাল থেকে দুটি কিরিজ ও একটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়। পরে হাসানের মালিকানাধিন একটি প্রজেক্ট থেকে একটি এলজি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এনিয়ে ঘটনায় ৫জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
প্রসঙ্গত, গত ৭জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে গোপালপুর ১নং ওয়ার্ড কোটরা মোহাব্বতপুর গ্রামের জোড়া পোল এলাকায় হাসানের নেতৃত্বে মাসুম, মিন্টু, জয়, জাহিদ সহ কয়েকজন অস্ত্রধারি হাসিবুলের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাকে তুলে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসিবুলকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় নিহতের চাচা সিরাজ মিয়া বাদি হয়ে ১১জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply