শিরোনাম:
পাঁচপাড়া আদর্শ সমাজ কল্যাণ পাঠাগার মিনিবার ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন হানিফ মিয়াজীর বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন চন্দ্রগঞ্জে নিরাপদ সড়ক চাই উপলক্ষে বণার্ঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা চন্দ্রগঞ্জে “শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের” নতুন কার্যালয় উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের মতবিনিময় সভা লক্ষ্মীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত -৩, আহত ২০জন কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যাল কলেজ সভাপতির আগমন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল লক্ষ্মীপুরের পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত অপরাধ কমাতে সিসিটিভি ক‍্যামেরার ভূমিকা চন্দ্রগঞ্জ দলিল লেখক কল্যান সমিতির সভাপতি কাউছার, সম্পাদক মহিন

লক্ষ্মীপুরে হাত-পা বাঁধা কাঠমিস্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
  • 816 Time View

বিশেষ প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারীতে একটি পাকা ঘরের দরজা ভেঙে কাঠমিস্ত্রী রিয়াজ হোসেনের (২৫) হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুঠোফোনে লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, এ মৃত্যুর কারণ ও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে মাঠে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব সদস্যরা ও কাজ করছে।
ভোররাতে উপজেলার দক্ষিণ মান্দারি বাজারে একটি তালাবন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে পুলিশ কাঠমিস্ত্রী রিয়াজের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত রিয়াজ দত্তপাড়া ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের তোরাব জমাদার বাড়ী’র তোফায়েলের ছোট ছেলে ও মান্দারী বাজারের দ্বীন ইসলাম ফার্ণিচার দোকানের নকশার কারিগর।

পুলিশ জানায়, এর আগে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দোকান থেকে বের হওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রিয়াজের মোবাইল ফোন থেকেই অপহরণকারীরা কল দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। একইদিন সন্ধ্যায় নিহতের মা খুরশিদা বেগম চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতেই তদন্ত শুরু করে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনাটি থানা থেকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য র‌্যাবের কাছে সহযোগীতা চাওয়া হয়। পরে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মান্দারী বাজারের একটি ভবনের নিচতলার একটি কক্ষ থেকে রিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রিয়াজের বড় ভাই রুবেলের সঙ্গে মান্দারী বাজারে একটি ফার্ণিচারের দোকানে নকশার কারিগর হিসেবে কাজ করতো। তার সঙ্গে কাউছার নামে আরও একজন নকশার কারিগর ছিলেন। কাউছার বাজারের পাশেই উম্মে সালমা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতো। সেখান থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের ধারণা-ঘটনার সঙ্গে কাউছার জড়িত রয়েছে। নিহতের বাবা তোফায়েল আহমেদ বলেন, দুদিন আগে আমার ছেলেকে অপহরণ করা হয়। পরে তার মোবাইল থেকেই কল দিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। ওই টাকা না দেওয়ায় অপহরণকারীরা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে।

পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, নিহত রিয়াজের মায়ের অভিযোগ পেয়ে র‌্যাবের সহযোগীতা নিয়ে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তারা তদন্ত শুরু করেন। এরপর জানা যায়, দুই মাস আগ থেকে উম্মে সালমা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতো রিয়াজ। বৃহস্পতিবার রাত ১ টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন গেলে রিয়াজের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে প্রথমদিনই তাকে হত্যা করা হয়। তার মাথায় ছোরার আঘাত ছিল। শরীরের বিভিন্ন অংশে কালছে জখম দেখা গেছে। খুনের রহস্য উদঘাটন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares