বিশেষ প্রতিনিধি:
জমজমাট আয়োজনে শেষ হয়েছে চন্দ্রগঞ্জ কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান।
বুধবার সকালে জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
চন্দ্রগঞ্জ কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোশাররাফ হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: জহিরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সনিয়া গ্রুফের এম. ডি ও বিশিষ্ট সমাজসেবক সাহাব উদ্দিন, কুমিল্লার কাদেনা স্পোর্টস ওয়ার লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুক জোনায়েদ, বেগমগঞ্জ একাডেমিক সুপারভাইজার মো: বেল্লাল হোসেন, আলাইয়ারপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান মো: মীর জুমলা মিঠু, আমানউল্লাহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: বাহরুল আলম সুমন, সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর রহমান রনিসহ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে জহিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের তরুণরা যদি খেলাধুলা ও সংস্কৃতিতে উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারে, তবে তারা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও সাফল্য পাবে।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোশাররাফ হোসাইন বলেন, “শিক্ষা শুধুমাত্র পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।”
অতিথিরা বলেন, আজকের এই বিশাল আয়োজনে আমাদের তরুণ প্রজন্মের এক অনন্য প্রতিভা প্রদর্শনের সাক্ষী হতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্বিত। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমাদের জন্য শুধু একটি উৎসব নয়, বরং এটি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষামূলক মুহূর্ত। আজকের দিনে আমাদের লক্ষ্য হলো, তরুণদের শুধুমাত্র একাডেমিক শিক্ষা নয়, বরং তাদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের দিকে মনোযোগ দেওয়া। খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা কেবল তাদের শারীরিক শক্তি ও মনোবলকে বৃদ্ধি করে না, বরং এটি তাদের জাতীয় চেতনার সাথে সম্পৃক্ত হতে সহায়তা করে। একটি জাতির উন্নতি ও সাফল্য নির্ভর করে তার তরুণ প্রজন্মের উন্নতির ওপর। আমাদের বিশ্বাস, যদি আমাদের তরুণরা খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে দক্ষতা অর্জন করে, তবে তারা বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো বিজয় অর্জন করবে। তাই, আমরা সকলেই একত্রিত হয়ে তাদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যাতে তারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে এবং জাতির জন্য গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়।
বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা বিজয়ীদের হাতে আকর্ষণীয় উপহার ও সাটিফিকেট তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।
সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন, মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক (আরবী) মাও: জসিম উদ্দিন, সহকারী অধ্যাপক (বাংলা) মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া ও প্রভাষক আনোয়ার হোসাইন, সহকারী শিক্ষক সামছুল ইসলাম রোকন।
Leave a Reply