লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদীর তীরে অবৈধ মাছ ঘাট দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর জখম ৯ জনকে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সকালে উপজেলার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নে মেঘনা নদীর তীর চান্দার খাল নামক স্থানে। পরে রায়পুর থানা ও স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন, আতাউল গনি, সেলিম খান, জয়নাল আবেদীন, মোসলেহ উদ্দিন, আব্দুল কাদের হাওলাদার, ওসমান গনি, আব্দুল মালেক, আজগর সর্দার, কামাল হোসেন, সবুজ হাওলাদার, সুমন হাওলাদার ও মফিজ সর্দার, জাকির হোসেনসহ ১৫ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মেঘনা নদীর তীরে চরবংশী ইউনিয়নের চান্দার খাল নামক স্থানে দীর্ঘদিন ধরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফ হোসেন হাওলাদার সংস্কার করে মাছ ঘাট দিয়ে ব্যবসা করছেন। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আলতাফসহ তার কমিটি বিলুপ্ত করে ওসমান খাঁনকে আহবায়ক করে ৬ সদস্যেও কমিটি ঘোষনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ। সেই থেকে ওসমান খান ও আলতাফ হোসেনের অনুসারীদের সাথে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ মারামারি হয়।
এতে উভয় পক্ষ একাধিক মামলাও করেন। এর জের ধরে শুক্রবার সকালে ওসমান খাঁ নতুন একটি মাছ ঘাট করতে গেলে এতে বাধা দেয় আলতাফ হোসেন হাওলদারের অনুসারী মফিজ খাঁ, আজগর সর্দার ও সুমন হাওলাদারসহ কয়েকজন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়। এই ঘটনায় পর আবারও দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
রায়পুর থানার ওসি একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, ঘটনায় শুনেই পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে আনা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়র রয়েছে। দু’পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা বা কোন পক্ষ লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply