বিশেষ প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মটরসাইকেল রাখার ঘটনায় হাতাহাতির পর জামায়াত-শিবিরের সড়ক অবরোধ এবং ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে জনভোগান্তি সৃষ্টির প্রতিবাদে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল।
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে রোববার বিকেল ৪টায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়ে। মিছিলটি কফিলউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক সড়ক পরিদর্শন করে চন্দ্রগঞ্জ বাজার হয়ে নিউ মার্কেটের সামনে এসে শেষ হয়। অধিক জনবলের কারণে ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়, তবে মিছিলকারীরা তাদের অবস্থান ধরে রেখে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এড. সাইফুল ইসলাম দিপু, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন, থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব আলাম মামুন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফ উদ্দিন জাবেদ, সদস্য সচিব নাজমুল হাসান কাউসার, কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন রাজু, কলেজ সভাপতি প্রার্থী রিংকু পাটোয়ারী, ছাত্রদল নেতা ইয়াকুব মুন্না রিপনসহ ইউনিয়ন, কলেজ এবং ওয়ার্ড শাখার ছাত্রদলের কয়েকশ’ নেতাকর্মী।
বক্তব্যে ছাত্রদলের নেতারা জামায়াত-শিবিরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বিগত দিনগুলিতে আন্দোলন সংগ্রামে আমরা একে অপরের সহযোদ্ধা ছিলাম। যদি আমাদের কোনো নেতা বা কর্মী ভুল করে, তাহলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু জনগণকে হয়রানী করে, রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ করা কখনই কাম্য নয়।’
প্রসঙ্গে, গত শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ নিউমার্কেটের সামনে মটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য সচিব নাজমুল হাসান কাউসার ও ৪নং আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের পাঠাগার ও অফিস সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত ইমনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতি ঘটে। বিষয়টি সমাধান না হওয়ায়, চন্দ্রগঞ্জ ও আলাইয়ারপুর ইউনিয়ন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণও ঘটানো হয়।
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আব্দুল হান্নান এবং বিএনপির নেতারা আলোচনা করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান করা হবে, এবং এর পর প্রতিবাদ মিছিলটি সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়া হয়।
জামায়াতের আমির আব্দুল হান্নান কঠোর কণ্ঠে বলেন, ‘যদি সমাধান না হয়, তবে আগামীতে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। আমরা এখনো মরে যাইনি।’
Leave a Reply