শিরোনাম:
চন্দ্রগঞ্জ থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের ২৫ সদস্যের কমিটি  সভাপতি সামছুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম মাছুম চন্দ্রগঞ্জে সাংবাদিকদের ঈদ পুনর্মিলনী উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির অধীন ইউনিয়ন কাউন্সিলের সিডিউল ঘোষণা ঈদের ষষ্ঠদিনে আসছে মুরতজা পলাশের ইউটিউব ফিল্ম ‘টাইগার-২’ লক্ষ্মীপুরে ভূমি বিরোধে সংঘর্ষ, একই পরিবারের ৪ জনসহ আহত ৬ লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ একজন গ্রেফতার চন্দ্রগঞ্জে ৯ মামলার আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমরান গ্রেফতার প্রতিদিন আমার সংবাদ এর প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত চন্দ্রগঞ্জে সাংবাদিকের উপর হামলা, আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি চন্দ্রগঞ্জে নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে রাসেল ফার্মেসির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা

চন্দ্রগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, মে ১২, ২০২৫
  • 9161 Time View

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) সকালে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), সেনাবাহিনী ও চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে পরিচালিত এ অভিযানে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চন্দ্রগঞ্জ বাজারের ‘শ্রী শ্রী নিতাই গৌরী বস্ত্রালয় এন্ড গার্মেন্টস’ (স্থানীয়ভাবে পরিচিত বলরাম বাবুর দোকান) এবং ‘আল মদিনা বস্ত্রালয়’-এর আড়ালে অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে দুটি দোকান থেকে বিভিন্ন দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করা হয়, যার বাংলাদেশের মুদ্রামানে যার মূল্য ৪৮ লাখ, ৫হাজার, ৯শত ১০ টাকা। তার মধ্যে বলরাম দেবনাথ থেকে ৪৬ লাখ ৩৯ হাজার ৯১০ টাকা ও আল মদিনা বস্ত্রালয় থেকে ১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।

অভিযানে শ্রী শ্রী নিতাই গৌরী বস্ত্রালয় এন্ড গার্মেন্টসের খোকন দেবনাথ এবং আল মদিনা বস্ত্রালয়ের ইব্রাহিম খলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযানের নেতৃত্বে থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবৈধ মুদ্রা লেনদেনের অভিযোগ ছিল। আজকের অভিযানে তা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা চক্রের পেছনে থাকা মূল হোতাদেরও শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।

ক্যাপ্টেন মোঃ রাহাতের জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি, এই মুদ্রাগুলো কোথা থেকে এসেছে এবং কিভাবে লেনদেন হতো—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই ধরনের কার্যকলাপ বহুদিন ধরে চললেও কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলতো না। চন্দ্রগঞ্জ বাজারে এ ধরনের ব্যবসায় জড়িত আরও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় সূত্রগুলোর দাবি, এসব দোকান দীর্ঘদিন ধরে বস্ত্র ব্যবসার আড়ালে স্বর্ণ বন্ধক ও অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ছিল। যৌথ বাহিনী জানিয়েছে, ঘটনাটি আরও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares