বিশেষ প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি ইউনিয়নে দোয়ালিয়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর গহবধূকে গণধর্ষণ মামলার মূল আসামি মো. হারুন (৪৫) কে আটক করেছে র্যাব। শুক্রবার (২৪ মে) বিকালে বেগমগঞ্জ থানাধীন হিরাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত মো. হারুন বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্যাহপুর এলাকার চৌধুরী আলমের ছেলে। তার অপর দুই সহযোগী সিরাজ মিয়ার ছেলে পেয়ার আহম্মেদ তারেক (২৫) ও কামাল হোসেনের ছেলে সামসুল আলম রাসেল (২৩) কে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় ভুক্তভোগীর স্বামী মো. আমির হোসেনের সাথে আসামি হারুন, সাইফুল ও বাবুদের সাথে পুকুরে মাছ ফেলাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলেছিল। উক্ত বিরোধের কারণে আসামিরা বড় ধরণের ক্ষতি সাধনের হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আনুমানিক রাত ১০টার সময় আসামি হারুন, সাইফুল ও বাবুসহ অজ্ঞাতনামা ৬০-৭০ জন লোক বেআইনি জনতাবদ্ধ হয়ে ভুক্তভোগীর বসতঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তারা ভুক্তভোগীকে মারধর করে ও ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইনসহ নগদ চার লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে আসামি হারুন, সাইফুল, বাবুসহ অন্যরা ভুক্তভোগীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। বর্ণিত ঘটনার প্রেক্ষিতে র্যাব-১১-এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, জড়িত আসামিদের সনাক্ত করণ ও তাদের গতিবিধি নজরদারি শুরু করে। তারা উক্ত ঘটনার মূল হোতা মো. হারুন ও পলাতক অন্যান্য আসামিদের আটক করার লক্ষ্যে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে। এরই প্রেক্ষিতে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন হিরাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মো. হারুন ও অপর দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।
লক্ষ্মীপুর র্যাব-১১-এর কোম্পানি অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার, নরেশ চাকমার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য নিশ্চিত করান।
এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ মডেল থানা অফিসার ইনচর্জ (ওসি) ফিরোজ আলম মোল্লা বলেন, ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৬০/৭০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply