প্রতিদিনের খবর ডেস্ক :
দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০১৯ সালে পৃথিবীর মানুষ ১০ ধরণের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। এটি জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এতে লাখ লাখ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে।
ভ্যাকসিন সংকট: আমেরিকাসহ সারা বিশ্বেই রোগ ও ভাইরাস প্রতিরোধ ভ্যাকসিনের অভাব দেখা দিয়েছে। যা চলতি বছরে বিশ্ববাসীকে সামাল দিতে হবে।
অ্যান্টিবায়োটিক: চিকিৎসা শাস্ত্রের এখন অন্ধকার দিক হলো অ্যন্টিবায়োটিক তৈরিতে ড্রাগের (মাদক) ব্যবহার। হু বলছে, ‘এখন আমাদের ড্রাগের ব্যবহার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
বায়ু দুষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিবছর সাত মিলিয়ন মানুষ মারা যায় এবং ৯০ শতাংশ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে।
নতুন ভাইরাসের আশঙ্কা: এবছর বিশ্ববাসীকে নতুন নতুন ভাইরাসের সম্মুখিন হতে হবে। নতুন বছরের শুরুতেই নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ শিশু মারা গেছে।
বসতবাড়ি সংকট: যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তণে কারণে, খরা, দুর্ভিক্ষ, নদী ভঙ্গনসহ নানা করণেই এ বছর মানুষের জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়তে পারে।
ইবোলা ভাইরাস: এরইমধ্যে ইবোলা চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে গত বছর কঙ্গোসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশে ইবোলা মহামারি আকারে দেখা দেয়ায় এ বছরও এর প্রভাব থাকবে বলে আশঙ্কা করছে ডাব্লিউএইচও।
অপ্রতিরোধ্য রোগ: ক্যানসারের মত যেসব রোগ প্রতিরোধ করার কোনো উপায় এখনো তৈরি হয়নি এমন রোগির সংখ্যা বাড়তে পরে বলেও সর্তক করা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে। সংস্থাটি জানায়, প্রতিবছর ৭০ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে এসব রোগেই।
ডেঙ্গু: বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। ডাব্লিউএইচও জনায়, “কয়েক দশক হলেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে।” এ বছর ৪০ শাতংশ মানুষই ডেঙ্গু জ্বরের ঝুঁকিতে আছে বলে সতর্ক করে সংস্থাটি।
দুর্বল প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা: বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। যার ফলে সাধারণ মানুষ অদক্ষ চিকিৎসকদের থেকে সেবা নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়, “বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে। এজন্য এই ঝুঁকিটা বেশি।”
এইচআইভি: মরণঘাতি ভাইরাস এইচআইভি’র ক্ষেত্রে খুশির সংবাদ দিয়েছে ডাব্লিউএইচও। সংস্থাটি বলছে, “আমরা এইচআইভি’র চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পেরেছি। প্রায় ২২ মিলিয়ন মানুষকে এখন চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।” এরপরও এ ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে বলেও জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সুত্র : আজকালের খবর
Leave a Reply