বিশেষ প্রতিনিধি :
চন্দ্রগঞ্জ কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রাক্তণ ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকমন্ডলীদের ঈদ পুনর্মিলনী (১৫ জুন) শনিবার সকাল ১০টায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকঢোল পিটিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও নিমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানটি বর্জন করেছেন। এতে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনাসহ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
জানা যায়, সরকারি নিবন্ধনহীন ও বিতর্কিত অধ্যক্ষ এএইচএম আব্দুল হাই দীর্ঘদিন মামলার জটিলতার কারণে মাদ্রাসার বাইরে ছিলেন। বিগত ২০১৮ সালের ৪ আগষ্ট তারিখে এক ভুয়া আদেশের মাধ্যমে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে পুনরায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব বুঝে নেন আব্দুল হাই। যোগদানের পর থেকে আবারো নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন এই অধ্যক্ষ।
এ দিকে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মামুনুর রশিদ কিরন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ (আহসান সাইদ), ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিদর্শক ড. ইলিয়াস সিদ্দিকী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান মাহমুদ ও চন্দ্রগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অতিথি হিসাবে নাম ব্যবহার করে ঈদ পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিতর্কিত অধ্যক্ষ এএইচএম আব্দুল হাইসহ মাদ্রাসার একটি পক্ষ। অপরদিকে অনুষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আয়োজকদের বিরুদ্ধে।
বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুন এর মাদ্রাসার এমপিও তালিকায় অধ্যক্ষ এএইচএম আব্দুল হাই’র নাম নেই। তবুও তিনি কোন আইনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ দাবি করে দায়িত্ব পালন করছেন এমন প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকরা।
বিতর্কিত ঈদ পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনার নামে চাঁদা কালেকশন এবং মাদ্রাসার সুনাম বিনষ্ট করায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন অভিভাবক মহল।
Leave a Reply