বিশেষ প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহীতে যুবলীগের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন, ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রিয়াজ। তিনি জানান, বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে নানামুখি ষড়যন্ত্র করছেন। তারই অংশ হিসাবে স্বেচ্ছাসেবকলীগের বাবলুকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করিয়ে আমাকে সেই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার বলে উল্লেখ করে এই মামলার সঠিক তদন্ত দাবি করেন যুবলীগের এই নেতা।
রেজাউল করিম রিয়াজ বলেন, ২০১২ সালে ইউপি নির্বাচনে জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য গোলজার মোহাম্মদের নির্বাচন করি। এরপর থেকে চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদের সাথে আমার ভাতৃত্বসুলভ সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিন্তু বিগত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
গোলজার মোহাম্মদ নির্বাচন করেন আবুল কাশেম চৌধুরীর। আর আমি নির্বাচন করি জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ্ উদ্দিন টিপুর। এরপর থেকে মূলত আমার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে চরশাহী ইউনিয়নে আওয়ামী যুবলীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার এক গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
রিয়াজ বলেন, স্কুলজীবনে রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম, কলেজ জীবনে জনতা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের তৎকালীন ছাত্র সংসদের ভিপি তাহের ভাইয়ের পরিষদের সদস্য হিসাবে আমি রাজনীতি করি।
পরবর্তীতে চরশাহী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি এবং জেলা ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছি সঠিকভাবে। এরপর সদর পূর্ব যুবলীগের সদস্য এবং চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক হিসাবে অদ্যাবধি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছি।
পারিবারিকভাবে আমাদের পরিবার আওয়ামী পরিবার হিসাবে এলাকায় পরিচিত। আমি চরশাহী ইউনিয়নের পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামের এছাক মিয়া বাড়ির মোহাম্মদ আবদুল্যাহ মিয়ার ছেলে।
রেজাউল করিম রিয়াজ নিজেকে ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতির শিকার উল্লেখ করে আরো বলেন, প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শেষে মাধ্যমিক শিক্ষায় রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০১ সালে এসএসসি পাস, ২০০৩ সালে জনতা ডিগ্রী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস এবং চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে ২০০৯ সালে স্নাতক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি।
রেজাউল করিম রিয়াজ জানান, ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের কথা বলায় তিনি আমাকে এলাকা থেকে সরিয়ে দিতে পরিকল্পিতভাবে নানা অঘটনের জন্ম দিচ্ছেন।
জনসাধারণের অভিযোগের কথা উল্লেখ করে রিয়াজ বলেন- মানুষের কাছ থেকে জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ, সালিশী বাণিজ্যসহ এসবের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় সাধারণ মানুষ আমার পক্ষে অবস্থান নেয়।
এরপর কৌতহলী মানুষ রিয়াজকে চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চাই’ বলে ফেজবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় আমার পিছনে ষড়যন্ত্র শুরু হয়।
ষড়যন্ত্রমূলক অপহরণের নাটকসহ সার্বিক বিষয়ে দলীয় জেলা নেতাদের হস্তক্ষেপ এবং মামলার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন, চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রিয়াজ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান গোলজার মোহাম্মদের বক্তব্য জানার জন্য তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে বার বার কল দেওয়ার পরও নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply