বিশেষ প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের লক্ষ্মনপুর গ্রামে খরিদকৃত জমিনের উপর থেকে বিজ্ঞ আদালতের রায়ের পরও গাছ কর্তনে সনাতন ধর্মালম্বীদের বাধা।
জানা যায়, লক্ষ্মনপুর গ্রামের মৌলভী আবদুল বাতেন গত ৩০শে মে ২০০২ সালে মোঃ নুরের রহমান ও মোঃ কামাল উদ্দীন এর নিকট হইতে লক্ষ্মনপুর মৌজার ৩৮২নং দাগে ০১ শতাংশ জমিন খরিদ করে তথায় একটি দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। উক্ত দোকান ঘর অভ্যন্তরে একটি বটগাছ আছে যাহা হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনার উপকরণ বলে দাবী করে এবং উক্ত সম্পত্তি উপাসনালয়ের মালিকীয় সম্পত্তি দাবী করে স্থানীয় অধিবাসী ডাক্তার হরিনারায়ণ পাল সহ কতেক সনাতন ধর্মালম্বী মৌলভী আবদুল বাতেনের সাথে বিবাদ করে আসছে।
উক্ত বিষয়ে মৌলভী আবদুল বাতেন বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, নোয়াখালী বরাবরে ৬৮৪/২০১৫নং পিটিশন মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে ঘটনাস্থল সরেজিমনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছয়ানী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ সহিদ উল্যাকে নির্দেশ দেন। ভূমি কর্মকর্তা সহিদ উল্যা ঘটনাস্থল সরেজমিনে তদন্ত করে উক্ত বটগাছ ও দোকান ঘর মৌলভী আবদুল বাতেনের খরিদসূত্রে মালিকীয় দখলীয় সম্পত্তির উপর বিদ্যামান আছে এবং হিন্দু সনাতন ধর্মালম্বীদের কোন মালিকানা নাই বলে ১৭/০১/২০১৬ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
বিজ্ঞ আদালত তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্ত হয়ে ৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন, মালিকানার দলিল, বি এস খতিয়ান ব্যাপকভাবে পর্যালোচনা করে তফসীল ভূমিতে মৌলভী আবদুল বাতেন মালিক হিসাবে রায় প্রদান করেন এবং সনাতন ধর্মালম্বীদেরকে উল্লেখিত ভূমিতে প্রবেশ বারণ করেন। বিজ্ঞ আদালতের রায়ের পর মৌলভী আবদুল বাতেন উক্ত বটগাছ কর্তন করতে গেলে স্থানীয় কুচক্রী মহলের ইন্ধনে সনাতন ধর্মালম্বীদের কয়েকজন বাধা প্রদান করে। বটগাছটি কর্তন করতে না পারলে ঘর মেরামত করে ব্যবসা করতে পারবেন না বলে মৌলভী আবদুল বাতেন জানান। তিনি আরও বলেন আমি একজন গরীব লোক। জমিনটি খরিদ করে তথায় কোন রকমে ব্যবসা করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। এমতাবস্থায় বিজ্ঞ আদালতের রায় স্বত্বেও আমার জমিনের গাছ কর্তনে আমাকে বাধা প্রদান শুধু বেআইনীই নয় আদালত অবমাননারও সামিল।
Leave a Reply