প্রতিদিনের খবর ডেস্ক :
লক্ষ্মীপুরের গ্রাম গঞ্জে চলছে এক ধরনের নির্বাচনী আমেজ, না এটা কোন জনপ্রতিনিধি নির্বাচন নয়, দলীয় নেতা নির্বাচন, তবুও আমেজটা নির্বাচন মুখী।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলায় চলছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিল। আর এই কাউন্সিলের মাধ্যমে বের হয়ে আসবে প্রতিওভাবান নতুন নেতৃত্ব। তারই ধারাবাহিকতায় লক্ষ্মীপুরের হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কাউন্সিল হচ্ছে পূর্ব নির্ধারিত ১১’ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং তারিখে। সাবেক, বর্তমান ও নতুন মিলিয়ে অনেকেই তৃণমূল নেতা হওয়ার জন্য নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন যার যার অবস্থান হতে। দলীয় পদে আসার জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ উজাড় করে কর্মীদের সাথে নিজেদের যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন সবাই।
প্রথম বারের মতো হাজির পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হচ্ছেন, হাজিরপাড়া এলাকার ঐতিহ্যবাহী মিয়া পরিবারের সন্তান সাবেক ছাত্রনেতা তরুণ রাজনীতিক বিদ, সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী জনদরদীনেতা মো. নুরুল মোরছালিন মাসরুর। রাজনীতি ও সমাজসেবামূলক কাজ করা যাদের পারিবারিক ঐতিহ্য ও রক্তের সাথে মিশে আছে।
মাসরুর বাবা মরহুম এ বি এম সিদ্দিকুল্যাহ মিয়া এই ইউনিয়নকে আওয়ামী লীগেকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। এই পরিবারের হাত ধরে হাজিরপাড়া ইউনিয়ানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হাট -বাজার, স্কুল, মাদরাসা, মসজিদসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
মো. নুরুল মোরছালিন মাসরুর বলেন, পারিবারিক ঐতিহ্যর বাহিরেও ব্যক্তিগত ভাবে আমি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বর্তমান অবস্থান নিয়ে অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করতে পারে, তবে এগুলো নিয়ে আমি কোন চিন্তা করিনা। রাজনীতির শুরু থেকেই দল ও তৃণমূলের সাথে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। শুধু মাত্র সভাপতি প্রার্থী হয়েছি বলে বলছিনা, আমার এলাকার রাজনৈতিক কর্মীরা যখনই আমার সহযোগিতা চেয়েছে আমি সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করে আসতেছি ভবিষ্যতেও করবো। ভবিষ্যতে যেন আরও বেশি করে দল ও জনগণের সেবা করতে পারি, সে জন্য হাজির পাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলারে নিজেকে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছি। তবে আমি গনতন্ত্রে বিশ্বাসী, নেতা-কর্মীদের সহযোগিতার প্রতি আস্থা রেখেই ১১’ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখের সম্মেলনের অপেক্ষায় আছি।
Leave a Reply