চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ বরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে আয়োজন করা হয়েছে লোকসংগীত উৎসব ও কনসার্ট।
কিন্তু ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে উৎসবস্থলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনের অনুসারী একদল নেতা-কর্মী ভাঙচুরের ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ আছে।
অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের পর নেতা-কর্মীদের নিয়ে সেখানে মহড়া দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের অভিযোগ, সংগঠনের সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও এ আয়োজন সম্পর্কে তাকে কিছুই জানানো হয়নি। তবে মল চত্বরে কারা আগুন দিয়েছেন, আমি জানি না। আমি কাউকে এ ধরনের নির্দেশ দিইনি।
ছাত্রলীগের আরেকটি অংশ বলছে, মূলত ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে ‘কোণঠাসা’ করতেই তিন শীর্ষ নেতা একজোট হয়েছেন।
এছাড়া আয়োজনকে ঘিরে কোটি টাকারও বেশি বাণিজ্য করেছেন তিন শীর্ষ নেতা। এই কারণে শোভনের অনুসারীরা এই অগ্নিকাণ্ড ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।
অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনকে বৈশাখের আয়োজনের পুরো বিষয় সম্পর্কে আগেই জানানো হয়েছে। তবু কেন তিনি এ ধরনের আচরণ করছেন, তা জানি না।
টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারার বিষয়টি সত্য নয় বলে তিনি দাবি করেন।
এ ঘটনার পর ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের অনুসারী স্যার এফ রহমান হলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষারের ৪০৯ নম্বর রুম ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া সাগর রহমান নামে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে মারধর করা হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই উৎসবের স্পনসর কোমল পানীয়ের ব্র্যান্ড ‘মোজো’।
এতে জেমস, মিলা, ওয়ারফেজ, আর্টসেল ও ফিড ব্যাকসহ বেশ কয়েকটি ব্যান্ডের সঙ্গীত পরিবেশনের কথা রয়েছে।
সুত্র : পরিবর্তন
Leave a Reply