প্রতিদিনের খবর ডেস্ক :
করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ব্যবসায়ী ও অন্যদের সাথে সভা করে চৌমুহনী শহরকে রেড জোন ঘোষণা করে এবং ২৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সকল দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মাহমারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আরম্ভ হওয়ার পর থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও চৌমুহনী শহরে তা তেমন কার্যকর করা যায়নি। ব্যাপকহারে দোকানপাট খোলা ছিল। জনচলাচল স্বাভাবিক ছিল। লকডাউন বা স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই ছিল না। প্রশাসন কাচা বাজার চৌমুহনী মদন মোহন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানান্তর করলেও দোকানদাররা ২/৩ দিন পরে পূর্বের স্থানে চলে আস
তাছাড়া বিভিন্ন গলির দোকানগুলিও ছিল স্বাভাবিক। এতে শহরের মাছ বাজার, কালীতলা রোড, দক্ষির বাজার, কলেজ রোড, ফেণী রোড, গনিপুর, হাজীপুর, বিসমতকরিমপুর,নরোত্তমপুর, নাজিরপুর, করিমপুরসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়। বেগমগঞ্জ উপজেলা ১৩০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়। তার মধ্যে ৮০ জনই চৌমুহনী শহরে।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, অসীম কুমার দাস জানান, বেগমগঞ্জে করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়ানোর একমাত্র কারণ, চৌমুহনী শহরে লকডাইন অমান্য করে ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বেপরোয়া চলাচল। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ২৩ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত চৌমুহনীর সকল দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোন পথ খোলা ছিল না।
Leave a Reply