< সাজ্জাদ হোসেন চিশতী >
করোনার ভয়াল থাবায় যখন পুরো বিশ্ব লণ্ডভণ্ড। যেখানে প্রায় চার লাখের মতো মানুষ ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ঠেকাতে পারছে না সে দেশের মৃত্যুর মিছিল। যেখানে দিশেহারা বিশ্ববাসী! সেখানে আমাদের আশ্রয়ের শেষ স্থল,আমাদের মানবতার মা, জননেত্রী, বিশ্ব মডেল, আমাদের আশার প্রদৃপ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার পার্দুভাব ঠেকাতে একায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন ।গত ডিসেম্বরের শেষে চীনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখায় তখন আমাদের দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ‘কন্ট্রোল রুম’ খুলে রোগটি মোকাবিলায় প্রস্তুতি শুরু করা হয়। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও খোলা হয় ‘কন্ট্রোল রুম’। জানুয়ারি থেকেই দেশের সকল বিমান বন্দর, সমুদ্র বন্দর এবং স্থল বন্দরে বিদেশ প্রত্যাগতদের থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফ্রারেড থার্মোমিটারের মাধ্যমে স্ক্রিনিং করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় কমিটি এবং বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও কমিটি গঠিত হয়েছে। হটলাইনে দেওয়া হচ্ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত তথ্য ও চিকিৎসাসেবা। সংগ্রহ করা হয়েছে পর্যাপ্ত পিপিই এবং টেস্টিং কিটস।
রাষ্ট্রের জরুরি প্রয়োজনে ২ হাজার চিকিৎসক এবং ৫ হাজার ৫৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,অনুমোদন দেয়া হয়েছে ৩ হাজার টেকনিশিয়ান নিয়োগের। বর্তমানে দেশব্যাপী ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে কোভিড-১৯ রোগের পরীক্ষা এবং চিকিৎসা চলছে সুষ্ঠুভাবে। সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় ইতোমধ্যে এক লাখ তিন হাজার ১১৭ কোটি টাকার বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে-যা জিডিপি’র ৩.৩ শতাংশ। সরকার ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি তার দল আওয়ামী লীগকেও জনগণের দোরগোড়ায় নামিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী, দলীয় সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা দলের পক্ষে সারা দেশে ৯০ লক্ষ ২৫ হাজার ৩২৭ পরিবারকে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ৮ কোটি ৬২ লাখ ৮ হাজার টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে।
এছাড়াও পিপিই, চশমা, মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড গ্লাভস, ফিনাইল, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ব্লিচিং পাউডার, স্প্রে মেশিনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম ও টেলিমেডিসিন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়েছে এবং বিভিন্ন এলাকায় ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হয়েছে, যার সেবা এখনও চলমান।গত ৮ মার্চ দেশে যখন প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়, সেদিনই গণভবনে তৎক্ষণাৎ সভা ডেকে মুজিববর্ষের সব অনুষ্ঠান স্থগিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জনকল্যাণের কথা বিবেচনা করে জাতির পিতার কন্যা বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি দীর্ঘদিনের আরাধ্য বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা স্থগিত করতে। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। ২৬ মার্চ হতে অফিস-আদালতে সাধারণ ছুটি দেয়া হয় যা ৬৭ দিন থাকে। জরুরি সেবা কার্যক্রম ছাড়া সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সিংহভাগ শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে। স্থগিত করে গণপরিবহন, রেল ও বিমান চলাচল।গত ৩১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৬৪টি জেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সে সরাসরি কথা বলেন। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভাগওয়ারি প্রতিটি জেলার সঙ্গে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে ভিডিও কনফারেন্স চালিয়ে যান।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তিনি প্রান্তিক পর্যায়ের খোঁজ-খবর নেন, সমস্যা জানতে চান এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
সবাইকে তিনি অবিরাম সাহস যুগিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী গত ৩১ মার্চ ৬৪ জেলার জন প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন দফতরের মাঠপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে একযোগে ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে সরাসরি কথা বলেন। ৩৩ দিনে প্রধানমন্ত্রী ছয়বার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সংযুক্ত হয়ে ৫৮টি জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর থেকে তিনি ভিডিও কনফারেন্সিয়ের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম সমন্বয় করে আসছেন। করোনা সংকট মোকাবিলায় ১ এপ্রিল ৩১টি, ১৬ এপ্রিল ১০টি, ২০ এপ্রিল ১৩টি এবং ২৭ এপ্রিল ১০টি নির্দেশনা দেন তিনি । জাতির এই ঘোরতর সংকটে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের একটি জেলার সমন্বয়ের দায?িত্ব দিয়ে তিনি একজন বিচক্ষণ সরকার প্রধানের মতো কাজ করেছেন। লকডাউনের কারণে ধান কাটার জন্য কৃষি শ্রমিকের অভাব দেখা দিতে পারে মনে করে জননেত্রী শেখ হাসিনা তার নিজের রাজনৈতিক দল এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ধান কাটার আহ্বান জানান। নেত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও কৃষক লীগ সফলতার সঙ্গে সারাদেশে ধান কাটা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া, হাওড় অঞ্চলসহ যে সকল এলাকায় ধান উৎপাদন বেশি হয়েছে, সেখানে কম্বাইন্ড হারভেস্টার সরবরাহ করেছে সরকার। ফলে আগাম বন্যার আগেই যথাসময়ে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন কৃষক।
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এ দেশে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়ার পর মানুষ যখন জীবিকার সংকটে পড়ে তখন প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সরকারের পাশাপাশি দল থেকেও ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা চালানো হয়। খেটে খাওয়া মানুষের এ দেশে একজনও না খেয়ে মরেনি। পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্থবিরতা মোকাবিলায় নেওয়া হয় এক ডজনের বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ।
বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন,১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয়,নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মাঝে অর্থ বিতরণ,বয়স্ক ভাতা ও বিধবা/স্বামী নিগৃহীতাদের ভাতার আওতা সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকায় শতভাগে উন্নীত করা এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গৃহীত অন্যতম কার্যক্রম গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহনির্মাণ- সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের এই কর্মসূচিগুলি করোনা পরিস্থিতিতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বাস্তবায়ন করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
সরকারের পক্ষ থেকে অভাবে পড়া মানুষদের ত্রাণ দেওয়া শুরু হলে, দলমত বিবেচনা না করে সঠিক তালিকা তৈরি করে প্রকৃত অসহায় মানুষের কাছে ত্রাণসহ সরকারের সহযোগিতা পৌঁছে দিতে জনপ্রতিনিধি, দলের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এসব অভিযোগে গত ২ জুন পর্যন্ত ৮৫ জন জনপ্রতিনিধিকে বহিষ্কার করা হয়েছে।৬৪ জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২৯ মে পর্যন্ত সারা দেশে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক লাখ ৯১ হাজার ৮১৭ মেট্রিক টন এবং বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ ৬২ হাজার ১৯৩ মেট্রিক টন । এতে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৪৪টি এবং উপকারভোগী লোকের সংখ্যা ৬ কোটি ১১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৭১ জন ।
নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১১০ কোটিরও বেশি টাকা । এরমধ্যে জিআর নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৮৬ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে ৭২ কোটি ৫৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯৯৬ টাকা । এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৮১ লাখ ১০ হাজার ৩০৩টি এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা ৩ কোটি ৭৫ লাখ ১০ হাজার ৮৫৮ জন। শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ১৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৫ হাজার ৫৪ টাকা । এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৫ লাখ ৮৪ হাজার ৬৪০টি এবং লোকসংখ্যা ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫০ জন।
দেশের অভ্যন্তরে ভিডিও কনফারেন্সের বিভিন্ন বক্তব্যে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে ফসল উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি। এক খণ্ড জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে কৃষকদের আহ্বান জানান তিনি।এই চরম দুঃসময়েও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর কথা ভোলেননি মাদার অফ হিউম্যানিটি শেখ হাসিনা।
সার্বিক পরিকল্পনায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরও তিনি অন্তর্ভুক্ত করেন। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ফোর্বসে সফল নারী নেতৃত্বের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের প্রশংসা করে ম্যাগাজিনে লেখা হয়েছে, প্রায় ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস বাংলাদেশে। সেখানে দুর্যোগ কোনো নতুন ঘটনা নয়। আর এই করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেননি তিনি (শেখ হাসিনা)। তার এই তড়িৎ সিদ্ধান্তের প্রশংসা করে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম (উই ফোরাম) বিষয়টিকে ‘প্রশংসনীয়’ বলে উল্লেখ করে। ম্যাগাজিনে আরো বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতে যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা এখনো কার্যকর করতে পারেনি যুক্তরাজ্য।‘অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলা করে মানুষের জীবিকা রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্ব বিখ্যাত দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকায় প্রশংসা করা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, এখন অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের ওপরে। এমনকি ভারত, পাকিস্তান, চীনের চেয়েও এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা অনেক ভালো।’দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছেন আজকের পরিপক্ক রাজনীতিবিদ ‘শেখ হাসিনা’। তিনি যেমন সমৃদ্ধিশীল বাংলাদেশের যাত্রাপথে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তেমনি করোনা প্রতিরোধ যুদ্ধেও তিনিই সামনে থেকে পথ দেখাচ্ছেন।
দিন-রাত পরিশ্রম করছেন। প্রবল দেশপ্রেম এবং গণমানুষের প্রতি তীব্র দায়বদ্ধতা জননেত্রী হিসেবে তাঁকে পরিচিত করেছে। তীক্ষè বুদ্ধিসম্পন্ন-অভিজ্ঞ সরকার প্রধান হিসেবে তাইতো তিনি দ্রুততার সঙ্গে নিতে পেরেছেন একের পর এক সঠিক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত। ১৯৭১ সালে যেমন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের মনে আশা জাগিয়ে এদেশকে স্বাধীন করেছেন ঠিক তেমনি বর্তমানে তারই সুযোগ্য কন্যা , আমাদের আশা আকাঙ্খা বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে আশার আলো দেখিয়ে যাচ্ছেন।
আবির্ভূত হয়েছেন বাঙালির ‘বাতিঘর’ হিসেবে। এই চরম সংকটের সময় শেখ হাসিনার মত একজন সাহসী, বিচক্ষণ ও দূরদর্শী নেতাকে আমরা দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে পেয়েছি- এজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাইতো আজ আমি গর্বের সাথে বলতে পারি‘ আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি কিন্তু আমি একজন শেখ হাসিনাকে দেখেছি। আমরা আশা করছি আমাদের দেশনেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই এদেশ করোনা মুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ এবং আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে বলবো দেখ আমাদের ও আছে একজন শেখ হাসিনা, যিনি একাই করোনার সাথে লড়াই করে এদেশ কে করেনা জয় করেছেন।
Leave a Reply