বিশেষ প্রতিনিধি :
মেডিকেল কলেজ থেকে পাসের সনদ নেই। নেই বিএমডিসির নিবন্ধন। ডাক্তারি না পড়েও এমবিবিএস তিনি। নিজের নামের সঙ্গে ‘এমবিবিএস’ জুড়ে রোগীদের এক বছর ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন তিনি। নোয়াখালী সদর উপজেলার হাসপাতাল রোড হাউজিং এস্টেট থেকে কামরুল হাসান (৩২) নামে এমন এক ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) দুপুরে নোয়াখালী জেলা শহরের হাসপাতাল সড়কের পাশের মাতৃছায়া হাসপাতাল থেকে ভুয়া চিকিৎসক কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত দুই মাস ধরে মাতৃছায়া হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা চালিয়ে আসছিলেন কামরুল হাসান। এর আগে গত এক বছর ধরে শহরের আরেকটি হাসপাতালে রোগী দেখেছেন তিনি। মাতৃছায়া হাসপাতাল থেকে ২০১৮ সালের ১২ নভেম্বর আবুল কাশেম নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
ডাক্তারি না পড়েও কামরুল হাসান নিজের নামের সঙ্গে এমবিবিএস, পিজিটি (মেডিসিন) ও নিউরোমেডিসিন, হৃদরোগ বক্ষব্যাধি, বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি জুড়ে দিয়ে প্যাড ব্যবহার করে নিয়মিত রোগীদের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে আসছিলেন। কামরুল হাসান লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হোসেন আহমেদের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বলেন, এনএসআইয়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাতৃছায়া হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ভুয়া চিকিৎসক কামরুল হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। থানায় এনে জেলা সিভিল সার্জনের সহযোগিতায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে কামরুল হাসান স্বীকার করেন তিনি চিকিৎসক নন। ডাক্তারি না পড়েই এমবিবিএস তিনি। তার কোনো সনদ নেই। প্রতারণা করে বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি জুড়ে প্যাড ব্যবহার করে এতদিন রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন কামরুল হাসান।
Leave a Reply