শিরোনাম:
পাঁচপাড়া আদর্শ সমাজ কল্যাণ পাঠাগার মিনিবার ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন হানিফ মিয়াজীর বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন চন্দ্রগঞ্জে নিরাপদ সড়ক চাই উপলক্ষে বণার্ঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা চন্দ্রগঞ্জে “শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের” নতুন কার্যালয় উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের মতবিনিময় সভা লক্ষ্মীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত -৩, আহত ২০জন কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যাল কলেজ সভাপতির আগমন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল লক্ষ্মীপুরের পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত অপরাধ কমাতে সিসিটিভি ক‍্যামেরার ভূমিকা চন্দ্রগঞ্জ দলিল লেখক কল্যান সমিতির সভাপতি কাউছার, সম্পাদক মহিন

নীলফামারীতে খামারে বিষ প্রয়োগ করে ১৬শ মুরগী হত্যা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা প্রভাবশালীদের

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
  • 336 Time View

প্রতিদিনের খবর ডেস্ক :

নীলফামারীর ডোমারে উদিয়মান তরুন নারী উদ্যাক্তা সাংবাদিক নুরে রোকসানা সুমির খামারে কিটনাশক ছিটিয়ে ১৬শ মুরগী হত্যার অভিাযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) খামারের ব্যাবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা লিনা বেগম বাদী হয়ে ডোমার থানায় এ সাধারণ ডায়েরী করেন। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান সমাঝোতার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা করে চলছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সুত্রে জানাযায় , সাংবাদিক নুরে রোকসানা সুমি বৈবাহিক সুত্রে ডোমার উপজেলার বাসিন্দা। উপজেলার চিকনমাটির গ্রামের হুজুরপাড়ায় তার স্বামী স্বদেশ প্রতিদিনের ব্যাবস্থাপক কাওছার আল হাবীবের পৈতৃক নিবাস হওয়ায় সেখানে কর্মসংস্থান তৈরী করে এলাকার গরীব মানুষের পাশে দাড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে প্রথম ধাপে শাশুড়ি কহিনুর বেগমের নামে নামকরণে তৈরী করেন কহিনুর পোল্ট্রি ফার্ম। প্রাথমিক ভাবে দেশের মাংসের চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে সোনালী মুরগীর একদিনের বাচ্চা ক্রয় করে মাংস খাওয়ার উপযুক্ত করে বিক্রি করা হয়। এভাবে তিনটি ধাপ সাফলতার সাথে সম্পন্ন করার পর ৪র্থ ধাপে খামারের পাশের বাড়ির ষড়যন্ত্রের শিকারে ১৬শ মুরগী একদিনের ব্যাবধানে মারা যায়। এ ঘটনায় খামারের ব্যাবস্থপনার দায়িত্বে থাকা লিনাবেগমসহ তার পরিবারের সদস্যদের মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়াব্যাবস্থপনার দায়িত্বে থাকা লিনা বেগম জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি খামারে ও বাড়ির গেটে তালা দিয়ে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে যাই। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে এসে দেখতে পাই কিটনাশক ব্যাবসায়ী লাবু খামার থেকে বের হচ্ছে। খামারে বিনা অনুমতিতে ও গোপনীয়ভাবে প্রবেশের কারণ জানতে চাইলে লাবু টালবাহানা শুরু করে। সে চলে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় মুরগীর মৃত্যুর মিছিল। এভাবে একে একে প্রান হারায় ১৬শ মুরগী।

মুরগী মারা যাওয়ার বিষয়টি খামারের মালিক সাংবাদিক নুরে রোকসানা সুমিকে অবগত করলে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ছুটে এসে আমাকে বাদী হয়ে থানায় ডায়েরী করতে বলেন। তাদের নির্দেশে আমি যখন প্রস্তুত নেই তখনেই সেটাকে ধামাচাপা দিতে শুরু করে মুরগী মারার সাথে জড়িতরা। ষড়যন্ত্র করে আমাকে দিয়ে সুমির স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বদনাম জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালায় অভিযুক্তরা। এতে আমি প্রতিবাদ করলে নেমে আসে আমার প্রতি শাররিক ও মানষিক নির্যাতন। আমার উপর হিংস্র প্রানীর মতো সেই নির্যাতন শুরু করে দেবর মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা অহিদুল ইসলাম, পরে একে একে যোগ দেন দেবর আব্দুর রশিদ, ননদ নুরেজা ও শশুর হাফিজুল। এক পর্যায় একযোগে লাঠি সোটা নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে আমার উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। চলে নির্মম অত্যাচার।

লিনা বেগম জানান, তাদের নির্যাতনে শরীরে বিভিন্ন অংশে ক্ষত হয়েছে, তাদের লাথিতে তলপেটে প্রচন্ড ব্যাথা ও লজ্জা স্থান দিয়ে রক্ত ঝড়িয়েছে। এতকিছু করার পরেও তারা থেমে থাকে নি আমাকে দিয়ে সুমির স্বামীর বিরোদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিতে চাপ প্রয়োগ শুরু করে। কিন্তু আমি তাদের ফাঁদে পা না দেওয়ায় পরবর্তিতে আমার স্বামীকে মানষিক নির্যাতন শুরু করে। একপর্যায় রাতে আমি থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে বাধ্য হই। পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সেখানে রাত কাটাই। অথচ তারা এটা নিয়েও বদনাম রটায়।

এদিকে ঐ ঘটনার পরের দিন স্থানীয় মেম্বার সোলায়মান আলী মুরগী মারা যাওয়ার বিষয়টি সমাঝোতার কথা বলে আমন্ত্রন জানালে সেখানে উপস্থিত হন অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলার সাংবাদিকবৃন্দসহ এলাকার অসংখ্য মানুষজন। সেখানে উপস্থিত হয়ে বাদী পক্ষ মুরগী মারা যাওয়ার বিচার চাইলে সেখান থেকে বাঁচতে বিবাদীরা শুরু করে ব্যাক্তিগত সন্মানের উপর আক্রমন। কিন্তু সমাজের দর্পণ সাংবাদিক সমাজ উপস্থিত থাকায় বিচার তাদের অনুকুলে না যাওয়ায় তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে টালমাতাল হয়ে একেক সময় একেক ইস্যু তেরীতে ব্যাস্ত হয়ে পরে। আর এদের সহায়তা করতে দেখা যায় এলাকার কয়েকজন দালালকে।

সমাঝোতার বিচারের প্রধান ভুমিকা পালনকারী  চেয়ারম্যান মোসাব্বের হোসেন মানু সাংবাদিক, রাজনৈতিকবীদ, শিক্ষক, মেম্বার, স্কুল কমিটির সদস্য ও একজন দোকানদারসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সমন্নয়ে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। সেই তদন্ত কমিটিকে ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। কিন্তু তদন্ত কমিটিতে থাকা একজন টাকার কাছে বিক্রি হয়ে বাদী লিনা এবং তার স্বামী জাহেদুলকে দিয়ে মিথ্যা শিকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা চালায়। ঐ ব্যাক্তি তার স্ত্রী ও এলাকার কয়েকজন মহিলাকে দিয়ে লিনা এবং তার স্বামীকে চাপ প্রয়োগ করতেও দেখা গেছে।

এ বিষয়ে সাংবাদিক নুরে রোকসানা সুমি জানান, চেয়ারম্যান সাহেব ৭ সদস্যের যে তদন্ত কমিটি গঠণ করে দিয়েছেন তাতে আমাদের আস্থা ছিল শতভাগ। কিন্তু সেই কমিটিতে থাকা একজন দোকানদার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে নিজে ও তার স্ত্রীর মাধ্যমে বাদী লিনা এবং তার স্বামীকে মিথ্যার আশ্রয় নিতে চাপ প্রয়োগ করায় রিপোর্ট প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

সাংবাদিক সুমি জানান, রিপোর্ট প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র কিছুতেই মেনে নেওয়া যায়না। আমরা চেয়েছি মুরগী হত্যার বিচার অথচ কমিটির ঐ লোক ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে মাতামাতি করছে যা ন্যায় বিচারে বাধাগ্রস্থ। আর ন্যায় বিচার না পেলে আমরা কোর্টে মামলা দায়ের করতে দিধা করবো না।

এ বিষয়ে সাংবাদিক সুমির স্বামী কাওছার আল হাবীব জানান, কমিটির বাইরে থাকা দুই একজন এবং কমিটিতে থাকা একজন দালাল যদিও মুরগী মারা যাওয়ার ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে চেষ্টা করছে তাতে তেমন যায় আসে না। আর যারা দালালি করছে তাদের আমি আগে থেকেই চিনি এরা এলাকায় দালালি করেই চলে, এদের কাজই হচ্ছে কুবুদ্ধি দিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলা। তবে শিক্ষিত নয় বলে এরা এটিই করতে পছন্দ করে । তাই কোন ক্ষেত্রেই হোক না কেন শিক্ষিতদের মুল্যায়ন করলে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

এ বিষয়ে থানার এএসআই হুদা বলেন, আমরা আভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি এবং সেখানে মৃত্য মুরগীগুলো দেখে প্রাথমিক পর্যায়ে বাদী ও বিবাদীর সাথে কথা বলেছি।

উল্লেখ্য বিবাদীরা ৮ ভাই  হওয়ায় গায়ের জোরে সুমি ও তার স্বামী ঢাকায় বসবাস করার সুযোগে তাদের জমিতে বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেছেন। অন্যদিকে বাড়ির পাশে দোকান তুলে জায়গা দখল করে রেখেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares