বিশেষ প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নে থেকে অপহৃত মাদ্রাসারছাত্রীকে (১৭) দুই মাস তিন দিন পর উদ্ধার।
শনিবার সন্ধ্যায় সাভারের পূরগাও এলাকার জৈনিক রুবির বাসায় অভিযান চালায় বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ। এ সময় ওই বাসার একটি কক্ষ থেকে অপহৃত মাদ্রাসাছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তবে এসময় ওই বাসায় অন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। গত ২৪ ডিসেম্বর ওই তরুণীকে অপহরণ করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে অপহৃত ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। রাতেই মামলায় আসামি সাইফুল ইসলাম ইমন, ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে। এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি সাইফুল ইসলাম ইমন ও ফয়সালকে শনিবার বিকালে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ বিচারক মোসলেহ উদ্দিন মিজান ১৬৪ ধারায় আসামি ফয়সালের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। অপর আসামি ইমনকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলায় ৩ দিন ও পর্ণোগ্রাফী মামলায় ২ দিনসহ মোট পাঁচ দিনের রিমান্ড প্রদান করেন।
মামলার বাদী মাদ্রাসাছাত্রীর মা অভিযোগ, গত ২০১৮ সালের ১৩মার্চ রাতে মামলার আসামী ফয়সাল ও জোবায়ের ঘরে ডুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ওইছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তার ভিডিও ধারণ করে। পরে ওই ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগর মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ইমন তাঁর মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এরপরে দুই দফায় তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ইমন ও তাঁর সহযোগীরা। পরে দুই দফায় টাকা দিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে আবারও অপহরণ করেন শামছুল আলম ওরফে রাসেল। এরপর রাসেল, ইমন, ফয়সাল মেয়েকে ফিরিয়ে দিতে মুঠোফোনে তাঁর কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন জানান, পৃথক দু’টি মামলায় সাইফুল ইসলাম ইমনকে ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করলে আদালত দু’টি মামলায় তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান শিকদার বলেন, অপহৃত ছাত্রীকে সাভারের পূরগাও এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধর্ষণ, ভিডিও চিত ধারণ ও অপহরণের ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছেন। অভিযুক্তদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
Leave a Reply