বিশেষ প্রতিনিধি :
পঞ্চম ধাপে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা নির্বাচন। ২৮ ফেব্রুয়ারির এ নির্বাচনে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীরদের মাঝে প্রতীকও বরাদ্দ হয়েছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ স্বতন্ত্র একাধিক প্রার্থী মেয়র পদে লড়ছেন। এছাড়া কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদেও রয়েছে একাধিক প্রার্থী।
প্রতিনিয়ত চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। তবে এ আয়োজন যাদের জন্য তাদেরই আগ্রহ নেই। নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা হচ্ছে। সেখানে নেই সাধারণ মানুষ। আছে শুধু দলীয় নেতাকর্মীরা। নির্বাচনী প্রতিটি সভায় লাখ লাখ টাকা খরচ করলেও সাধারণ ভোটারদের দেখা মেলেনা।
সরোজমিন ঘুরে জানা গেছে, রায়পুর পৌরসভা ভোটে সব দলের প্রার্থী থাকলেও আমেজ নেই। ভোটের আড্ডায় মেতে উঠেনি চা দোকানগুলো। প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা সমালোচনাও করতে দেখা যায়নি। এ যেন থমকে যাওয়ার এক নির্বাচন।
এরআগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জেলার রামগতি পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে। এতে ইভিএম গোপন কক্ষের বাহিরে রেখে নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট দিতে বাধ্য করেছে ভোটারদেরকে। নৌকায় প্রকাশ্যে ভোটের অভিযোগ বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় পার্টিসহ স্বতন্ত দুই প্রার্থী ভোট বর্জন করেছে।
এদিকে ‘নৌকা ছাড়া অন্য কোন প্রতীকে ভোট দিলে ধরে পেলা যায়, রামগতি ভোটের আগে এক সভায় প্রকাশ্যে এ বক্তব্য দেয় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। এতে ইভিএম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সমালোচনার মুখে পড়েন এ নেতা। ইভিএম নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য ও নৌকায় প্রকাশ্যে ভোটের কারনে সাধারণ ভোটাররা নির্বাচনীয় আমেজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বলে সচেতন মহলের ধারণা।
Leave a Reply