বিশেষ প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রায় ৪০ লাখ টাকা মূল্যের ৮ লাখ চিংড়ি রেণু জব্দ করা হয়েছে। পরে রেণুগুলো মঙ্গলবার (২৫ মে) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট ফেরীঘাট এলাকার মেঘনা নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
এর আগে রাত ৯ টার দিকে ঢাকা-রায়পুর সড়কের রায়পুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে পিকআপ ভ্যান ভর্তি ৩৩ ড্রাম চিংড়ির রেণু জব্দ করে মৎস্য বিভাগ। তাৎক্ষণিক পিকআপ চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে প্রতিদিনই প্রকাশ্যে মেঘনা থেকে চিংড়ি রেণু আহরণ করে আসছে জেলেরা। এটি বন্ধে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তবে লক্ষ্মীপুর থেকে অন্য জেলায় পাচারকালে মাঝে মাঝে পিকআপ বা ট্রাক ভর্তি রেণু জব্দ করা হয়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা তাদের মাসোহারা না পেলে অভিযান চালিয়ে পাচারকালে চিংড়ি রেণু জব্দ করেন। যাদের থেকে নিয়মিত মাসোহারা পাওয়া, রেণু পাচারে তাদের কোন সমস্যা হয় না। যারা রেণু আহরণ করে তাদেরও কোন বাধা দেওয়া হয় না। এদিক থেকে হয়রানিসহ ক্ষতির সম্মুখিন হয় ব্যবসায়ীরা।
জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্র জানায়, মেঘনা নদী থেকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র চিংড়ি রেণু আহরণ করে অন্যত্র পাচার করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে পিকআপটি জব্দ করা হয়। পিকআপটিতে ৩৩ ড্রাম চিংড়ি রেণু ছিল। রেণুগুলোর বাজার মূল্য ৪০ লাখ টাকা।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, চিংড়ি রেণু শিকার ও পাচার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ব্যাপারে আমরা সবসময় সতর্ক রয়েছি। জব্দ হওয়া রেণুগুলো মেঘনায় অবমুক্ত করা হয়েছে। পিকআপের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply