বিশেষ প্রতিনিধি :
শনিবার (২৭ এপ্রিল) নোয়াখালী ধর্মপুর হাজিরহাট হাই স্কুল মাঠে জাতীয়তাবাদী কৃষকদল নোয়াখালী জেলা শাখার উদ্যোগে কৃষক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু উদ্বোধকের বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী স্বাধীনতার আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে রেখেছে সরকার। মনে রাখতে হবে, দেশনেত্রীকে বন্দী করে রাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে গণতন্ত্রকে কবর দেয়া, স্বৈরতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি আরো বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে বিএনপির নির্বাচিত যেসব সংসদ সদস্য শপথ নিচ্ছেন ইতিহাসের পাতায় তারা একদিন মীরজাফর হিসেবে চিহ্নিত হবে। বিএনপিকে ফ্যাসাদে ফেলতে সংসদ সদস্যদের জোর করে শপথ গ্রহণে বাধ্য করছে বর্তমান সরকার। আর এই শপথের নামে বিএনপির যারা দালালি করছেন সেইসব দালাল, মীরজাফরদের ইতিহাস কোনোদিন ক্ষমা করবে না। বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য, তেল, সারের দাম কমানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জনগণকে আশ্বস্ত দেন তিনি।
ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘সর্বস্তরের মানুষ এটি জানে যে, বর্তমান সরকার নির্বাচিত সরকার না। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন তারা ২৯ তারিখে করেছে। এই নির্বাচন বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের কাছে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। এই নির্বাচন গণতন্ত্রকে, স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, একাত্তরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে। আজ যদি দেশে আবারও গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হয় তাহলে এই সরকারকে পরাজিত করতে হবে রাজনীতির ময়দানে। আর সেই রাজনীতির ময়দানে স্বৈরাচার সরকারের পরাজয় ত্বরান্বিত করতে হলে নিজেদের সংগঠনকে আরও বেশি শাণিত করতে হবে। সেজন্য কৃষকদলের আসন্ন জাতীয় সম্মেলনে সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দকে শপথ নিতে হবে।’
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের কৃষকের জন্য তাদের সন্তানের জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কৃষকের ৫ হাজার ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা ও তাদের মেয়াদে একাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ করে দিয়েছিল বিএনপি সরকার। সেজন্য দেশের জনগণ বেগম জিয়াকে ভালবাসেন। জনগণ বেশি ভালোবাসে বলেই বর্তমান অবৈধ সরকার খালেদা জিয়াকে হিংসা করে, তাঁকে এত ভয় পায়।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্যারোল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই প্যারোলের নামে নতুন ফাঁদ পাততে চাইছে সরকার। বেগম জিয়াকে অপমান করার জন্যই সরকারও বারবার এই প্যারোলের কথা বলছে।’
নোয়াখালী জেলা কৃষকদলের আহ্বায় রবিউল হাসান পলাশের সভাপতিত্বে কৃষক সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, কেন্দ্রীয় নেতা মো. জামাল উদ্দিন খান মিলন, অ্যাডভোকেট নাসির হায়দার, জিয়াউল হায়দার পলাশ, এস কে সাদী, মাইনুল ইসলাম, লায়ন মো. আক্তার হোসেন সেন্টু, আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে নোয়াখালী জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও কৃষকদলসহ অংঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply