বিশেষ প্রতিনিধি:
মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন, পুলিশ লাইন্সে স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য ‘নির্ভীক’ এবং নোয়াখালীতে পুলিশের তিনটি নবনির্মিত থানা ভবনের উদ্বোধন করেছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ড. বেনজীর আহমেদ।
অনলাইনে যুক্ত হয়ে চারতলা বিশিষ্ট সুধারাম মডেল থানা, সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও নারী পুলিশ ব্যারাক উদ্বোধন করেন তিনি। অনলাইন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে নোয়াখালী পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। সঞ্চালক ছিলেন হোমনা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার স্পিনা রানী প্রমানিক।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী পিটিসি কমান্ড্যান্ট ডিআইজি এস এম রোকন উদ্দিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, অ্যাডিশনাল ডিআইজি (এডমিন এন্ড ফিনান্সি) ইকবাল হোসেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
নোয়াখালী জেলার মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি গবেষণাধর্মী বই ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’। এতে নোয়াখালীতে মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ সদস্যদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাঁথার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বইটিতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় নোয়াখালী অঞ্চলে যুদ্ধের প্রস্তুতি, শত্রু মোকাবেলা ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বর্বরতার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। স্থান পেয়েছে অগ্নিঝরা সেই সময়ের অনেক দুঃপ্রাপ্য ছবি, মূল্যবান নথি-পত্র ও প্রচারপত্র। জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার আব্দুল হাকিমের দুঃসাহসী ভূমিকা এবং স্বপরিবারে আত্মদানের কথা স্মৃতির কথাও রয়েছে।
অন্যদিকে নির্ভীক নামে যে ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে তাতে উঠে এসেছে, তৎকালীন পরাধীনতার শেকল ভাঙার প্রত্যয়ে টগবগ ফুটতে থাকা বাঙালির ধমণীতে শক্তি, সাহস ও প্রেরণার সঞ্জীবনী সঞ্চারী এক অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন পুলিশ সুপার আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে তৎকালীন জেলা পুলিশ। নির্ভীক ভাস্কর্যটি শুধু একটি শিল্পকর্ম নয়, অগ্নিঝরা একাত্তরের একটি দুঃসাহসিক অধ্যায়ও। অসংখ্য পুলিশ সদস্যের আত্মদানে রচিত কিংবদন্তীর প্রতিচ্ছবি এটি।
Leave a Reply