শিরোনাম:
পাঁচপাড়া আদর্শ সমাজ কল্যাণ পাঠাগার মিনিবার ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন হানিফ মিয়াজীর বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন চন্দ্রগঞ্জে নিরাপদ সড়ক চাই উপলক্ষে বণার্ঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা চন্দ্রগঞ্জে “শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের” নতুন কার্যালয় উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের মতবিনিময় সভা লক্ষ্মীপুরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত -৩, আহত ২০জন কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যাল কলেজ সভাপতির আগমন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল লক্ষ্মীপুরের পাঁচপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত অপরাধ কমাতে সিসিটিভি ক‍্যামেরার ভূমিকা চন্দ্রগঞ্জ দলিল লেখক কল্যান সমিতির সভাপতি কাউছার, সম্পাদক মহিন

ভাতা বন্ধ বেগমগঞ্জের ১৪৮ মুক্তিযোদ্ধার!

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, এপ্রিল ৩, ২০২২
  • 2001 Time View

বেগমগঞ্জ প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ১৩৬২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য হঠাৎ করে ১৪৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাতা আটকে গেছে। তবে ভাতা বন্ধ হওয়ার বিষয়ে কোনো চিঠি পাননি এইসব মুক্তিযোদ্ধারা। এতে তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ১৯৯৬ইং থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি ২০২২ইং পর্যন্ত তারা প্রতি মাসে নিয়মিত ভাতা পেলেও গত ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং মাসের ভাতা তারা পাননি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বেগমগঞ্জে সরকারি গেজেট অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ১৩৬২ জন। তাদের প্রত্যেকের ভাতার টাকা প্রতি মাসে সোনালী ব্যাংক চৌমুহনী শাখায় আসে ফেব্রুয়ারি মাসে সবার ভাতা এলেও এই ১৪৮ জনের আসেনি। তাদের ভাতা ব্যাংকে না আসার বিষয়টি স্বীকার করেন ব্যাংক ম্যানেজার। তবে কী কারণে তাদের ভাতা আসেনি, সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।

ভাতা না পাওয়া মুক্তিযোদ্ধারা হলেন, মজিবুল হক, আজিম উদ্দিন, লোকমান আহম্মদ, বেলায়েত হোসেন, নাদরের জামানের স্ত্রী জায়েরা বেগম, মো. শহীদ উল্যা, মৃত মমতাজ
মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম, মো. শহিদ উল্যা বাচ্চু, আক্তারের জামান, লাতু মিয়া, নুরুল ইসলাম মাষ্টারসহ ১৪৮জন।
মজিবুল হক বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে নিয়মিত ভাতা পেতেম। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ সেটি বন্ধ হয়ে যায়। কেন বন্ধ হলো, সেই উত্তর নেই কারো কাছে। তিনি আরো বলেন, ২০০৪ সালের যাচাইবাছাই তালিকা করে আমাদের নাম রেজ্যুলেশন করা হয়। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ অংশ গ্রহন করি এবং ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশকে হানাদার বাহিনীর হাতে থেকে মুক্ত করতে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি।
মো. শহিদ উল্যা বাচ্চু বলেন, এতদিন নিয়মিত ভাতা পেয়ে এসেছি। হঠাৎ ফেব্রুয়ারিতে কী হলো টাকা ব্যাংকে আসেনি। কোনো চিঠি বা নোটিশও দেয়নি। শুনেছি অনেকের বিএনপি করার কারণে সম্মানী ভাতা আটকে গেছে।
ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধা মৃত মমতাজ মিয়ার স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন, ভাতা চালুর পর থেকে আমার স্বামী ভাতা পান। তিনি মৃত্যুবরণ করলে স্বামীর অধিকারে আমি ভাতা পাই। আমার স্বামী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। কোনো অভিযোগ নেই তার বিরুদ্ধে। তবে কেন আমার ভাতা বন্ধ করল তার জবাব পাচ্ছি না কারো কাছ থেকে।

এমনি আরেকজন ভাতাবঞ্চিত লোকমান আহম্মদ বলেন, আমি জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ভাতা পেয়েছি কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে কোনো টাকা পাননি। ২০০৫-এ অনেকগুলো গেজেট হয়। এর মধ্যে লাল মুক্তিবার্তায় অনেকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। যারা যুদ্ধ করেছেন তারাও হয়েছেন। যারা ‍যুদ্ধ করেননি তারাও তালিকায় নাম দিয়েছিলেন।
ভাতা বন্ধের বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল হোসেন বাঙ্গালি বলেন, পুরনো ও নতুন তালিকার মধ্য থেকে ১৪৮ জনের ভাতা বন্ধ রয়েছে। ২০১৭ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম যাচাই-বাছাইতে যাদের নাম বাদ পড়েছে, ভাতার জন্য যারা এম.এস করেনি বা হাজিরা দেয়নি মূলত তাদের ভাতা বন্ধ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আবার অনেকের যাচাই-বাছাই নাম আছে, এম.এস ও হাজিরা দিয়েছে তাদেরও অনেকের ভাতা আসেনি। এই ব্যাপারে আমরা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুন নাহার জানান, নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাইয়ের সময় যাদের ব্যাপারে আপত্তি এসেছে তাদের ভাতা বন্ধ হতে পারে। তবুও আমরা বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। ভাতা দেওয়ার দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের। যাদের ভাতা বন্ধ তঁারা কি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বা এতো দিন তাঁরা যে ভাতা নিয়েছেন সেগুলোর কি হবে বা যদি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ইউএনও বলেন, সেটি তদন্ত সাপেক্ষ ব্যাপার, কে ভূয়া আর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তা নির্ধারন করে মন্ত্রনালয় আমাদের নির্দেশনা দিলে আমরা সেই মতে কাজ করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares