বিশেষ প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর হানিফিয়া আলিম মাদ্রাসার জরাজীর্ন ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা জরুরী। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা ঝুঁকিপূর্ণ।
সরজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, উত্তর জয়পুর হানিফিয়া আলিম মাদ্রাসা ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৬০ সালে উক্ত মাদ্রাসাটি সরকারি মঞ্জুরি লাভ করে পরে ১৯৮৪ সালে দাখিল মাদ্রাসারা হিসাবে এমপিও ভুক্ত হয় এবং ২০০৫ সালে আলিম মঞ্জুরি পাওয়ার পর থেকে আলিম মাদ্রাসা হিসাবে ধারাবাহিক ভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। মাদ্রাসাটি আলিম শ্রেনীসহ সকল ক্লাসে নিয়মিত ভালো রেজাল্ট করে আসছে।
লক্ষ্মীপুর সদর ও নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সীমান্তর্বতী প্রত্যান্ত গ্রাম অঞ্চল হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি সরকারী অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘ সময় ধারাবাহিক মঞ্জুরী ও ভালো ফলাফল এবং নিয়মিত গভার্ণিংবডি দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসলেও মাদ্রাসাটি আজ পর্যন্ত এমপিও ভুক্ত হয়নি। মাদ্রাসার বর্তমান একতলা বিশিষ্ট একাডেমিতে ভবনটি ১৯৯৭ সালে সরকারি শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ থেকে স্থাপন করা হয়। এরপর থেকে দীর্ঘ সময়ে ভবনটি একবারও রিপেয়ার করা হয়নি। জরাজীর্ণ হওয়া ভবনটিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই অতিদ্রুত ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবনা করা জন্য ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
কয়েক জন অভিভাবক বলেন, আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের মাদ্রার এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান করেত পাঠিয়ে সবসময়ই দূর্ঘটনার আশংকায় থাকি।তাই ভবনটি অতিদ্রুত পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবনা করা জরুরী।
মাদ্রাসার অধ্যাক্ষ মো. আবদূন নূর বলেন, মাদ্রাটি অবস্থানগত দিক থেকে দুই জেলার সীমান্তবর্তী ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি অবহেলিত ও সরকারি অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বনঞ্চিত। বিশেষ করে মাদ্রাসার আলিম শাখাকে এমপিও ভুক্ত করার পাশাপাশি জরাজীর্ণ একাডেমি ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে একটি নতুন ভবন অনুমোদনদেওয়ার জন্য কতৃপক্ষের নেক দৃষ্টি কামনা করছি।
মাদ্রাসার গভাণিংবডির সভাপতি মাহাবুবুল আলম মাসুদ বলেন, অবহেলিত এই প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক উন্নায়নে আমারা সার্বক্ষনিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় জরাজীর্ণ একাডেমি ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে একটি নতুন ভবন অনুমোদন দেওয়া অতীব জরুরী।
Leave a Reply