মো. ইসমত দ্দোহা:

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে অবস্থিত গোফরান স্মৃতি পাঠাগারে মহান বিজয় দিবস, এসএসসি ও সমমান শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গোফরান স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোক্তা ইসমত দ্দোহার সভাপতিত্বে ও পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় রোববার সন্ধায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাঠাগারের প্রধান উপদেষ্টা চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম. ছাবির আহমেদ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, এটা আমার নিজের জন্মস্থান,আমার পারিবারিক সমাজ এলাকা আমি শুরু থেকেই এই পাঠাগারের সাথে আছি, আগামীদিন ও পাঠাগারের উন্নয়নে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করে যাবো।পাশাপাশি স্থানীয় বিওশালী যারা আছেন তাদের প্রতিও আহবান জানাচ্ছি এই পাঠাগারের শিক্ষা-সংস্কৃতি’র উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন, সিনিয়র সদস্য ইব্রাহিম খলিল মঞ্জু, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী আবদুল মতিন, গোফরান স্মৃতি পাঠাগারে উপদেষ্টা আবদুল আজিজ বাহার পাটওয়ারী, প্রবাসী ও সমাজসেবক আইয়ুব আলী মেম্বার, লিয়াকত আলী মাস্টার, মানবাধিকার কর্মী সায়েদুর রহমান পিন্টু, পাঠাগারের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: আলমগীর হোসেন, সাধারণ পরিষদের সদস্য লোকমান হোসেন ও সহ-দপ্তরসম্পাদক হাসান মারুফ প্রমূখ।

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়ার পাশাপাশি বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ ।
পাঠাগারের উদ্যোক্তা সাংবাদিক ইসমত দ্দোহা বলেন, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত “গোফরান স্মৃতি পাঠাগার ” জাতীয় পর্যায়ের সকল অনুষ্ঠান উদযাপনের পাশাপাশি নিয়মিত ভাবেই স্থানীয় পর্যায়ে পাঠাগারে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। বর্তমানে পাঠাগারে প্রায় ১২০০কপি বই, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও বিনোদনের মাধ্যম টেলিভিশনসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বিদ্যমান আছে। স্থানীয় জনসাধারণ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এই পাঠাগারের নিয়মিত পাঠক ও উন্নয়ন সহযোগিতা করে আসছেন।

উল্লেখ্য, পাঠাগারের উদ্যোক্তা সাংবাদিক মো. ইসমত দ্দোহা তার প্রয়াত পিতা আবদুল গোফরান মিয়ার স্মৃতি ও সামাজিক শিক্ষা-সংস্কৃতি’র উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে এই পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যক্তিগত জীবনে আবদুল গোফরান মিয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন, ১৯৯২ সালের ৬’ই জুন শিবপুর ওনার নিজ বাড়িতে মৃত্যবরণ করেন।