বিশেষ প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে শ্রমিক হোটেলের মালিককে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে এসপি অফিসে লিখিত অভিযোগের প্রতিবাদসভা করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানা যুবলীগের নেতারা।
বুধবার দুপুর ৩টায় চন্দ্রগঞ্জ বাজরের নিউ মার্কেট চত্বরের সামনে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই সময় আবদুর রাজ্জাক রিংকু সকল সাংবাদিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, শ্রমিক হোটেলের মালিক জসিমের ছেলে ওমর ফারুক আমার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর এসপি অফিসে মারধর ও চাঁদাবাজির যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সমাজে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় ও ঐতিহ্যবাহী সংগঠন যুবলীগের বদনাম করতেই এটা করেছেন ওমর ফারুক।
আবদুর রাজ্জাক রিংকু আরো বলেন, ঘটনার দিন সোমবার সকালে আমি সহ তিনজন শাহিন হোটেলে সকালে নাস্তা করার উদ্দেশ্যে যাই। নাস্তা খাওয়া শেষে আমরা যখন বাহির হবো তখন শ্রমিক হোটেলের মালিক ফয়সাল মুজাহিদুল ইসলামকে (স্টাপ) গাল মন্দ করে, রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। আমি ডাক দিলে সে আমাকেও তাড়িয়ে আসে। এসময় তার সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফয়সাল উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারতে আসলে, আমাদের মধ্যে কিছুটা হাতাহাতি হয়। পরে আমিসহ পাশ্ববর্তী দোকানের লোকজন এসে স্টাপ মুজাহিদুলকে উদ্ধার করে প্রথমে চন্দ্রগঞ্জ থানা অফিসারকে দেখিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
এ ঘটনাকে পরবর্তীতে একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে মারধর করেছি উল্লেখ করে আমার নামে লক্ষ্মীপুর এসপি অফিসে অভিযোগ করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
প্রতিবাদ সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক মুনছুর আহম্মদ, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস উদ্দিন লিটন, সহ-সভাপতি গৌতম মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক কাজী সোলাইমান, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক কাজী মামুনুর রশীদ বাবলু, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুবলীগের আহবায়ক সাহাব উদ্দিন, সাবেক যুবলীগ নেতা গোলাম রব্বানীসহ চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেত্রীবৃন্দ।
প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত নেত্রীবৃন্দ বলেন, একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার লক্ষে চাঁদা দাবির মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আবদুর রাজ্জাক রিংকুসহ তিন জনের বিরুদ্ধে এসপি অফিসে একটি মিথ্যা অভিযোগ করেন শ্রমিক হোটেলের ছোট ছেলে ওমর ফারুক। নেতারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে আসল দোষীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
Leave a Reply