ইব্রাহিম খলিল মঞ্জু:
গত একযুগ থেকে মানবতার জয়গান গেয়ে আসছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মানবতার ফেরিওয়ালা এম.এস আল-আমিন।
তিনি অসংখ্য মানবিক সংগঠনের সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও মানবতার কাজগুলো খুবই গোপনে করতেন, মানবিক কাজের পরিধি বাড়ার সাথে সাথে গত কয়েক বছর থেকে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হয়ে উঠেন। বৃহত্তর নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার মানুষকে রক্তদান, শিক্ষা, চিকিৎসা, আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সামাজিক উন্নয়নে প্রতিনিয়ত মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন।
বিগত বছরের নেয় গত এক বছরের কার্যক্রম তুলে ধরেছেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক এম. এস আল-আমীন।
তিনি শুরুতে ধন্যবাদ জানান যারা আমার এই ফাউন্ডেশনকে সাহায্য সহযোগীতা করেছেন সে ফেইসবুক বন্ধুদের। তিনি বলেন, আমি আমার এই ফেইসবুক বন্ধুদের সহযোগিতায় গত এক বছরে যে সমস্ত কার্যক্রম করেছি তা হলো অসহায় ও দুঃস্থ ৪১জনের চিকিৎসা সেবা বাবদ ৭৯৫০০০টাকা, অসহায় ১৪জন মেয়ের বিবাহ বাবদ ২৯৫০০০টাকা, অসহায় ও দুঃস্থ ১৫টি পরিবারকে টিউবওয়েল প্রধান বাবদ ৮৮০০০টাকা, ১৬টি পরিবারের আয়ের উৎস সৃষ্টির লক্ষে সেলাই মেশিন দান ১২৮০০০টাকা, ২৩জন অসহায় শিক্ষর্থীকে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ৪৮২০০টাকা, অসহায় দুই জন পঙ্গুকে দুইটি হুইলচেয়ার বিতরন ১৯০০০টাকা, একজন অসহায়কে একটি অটোরিক্সা প্রদান ও একজনকে একটি ভ্যানগাড়ি দান করা বাবদ ১২৫০০০টাকা, বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক প্রতিষ্ঠানে দান ১৫৩০০০টাকা, সর্বমোট বিতরণ করেছি ১৬০৮২০০টাকা। তারমধ্যে আমার ফেইসবুক বন্ধুদের থেকে সহযোগিতা পেয়েছি ১৪০২২০০টাকা, বাকী আমার পক্ষ ২০৬০০০টাকা অনুদান দিয়েছি এবং আমার হাতে এখনো বেশ কয়েকটি অসহায় পরিবারের ভাই ও বোনের সমস্যায় জর্জরিত রিকোয়েস্ট জমা পড়ে আছে।
তাই আগামী দিনে আল-আমিন ফাউন্ডেশন যেনো গরিব অসহায় পরিবারের পাশ্বে থাকতে পারে, সেই জন্য আমার ফেইসবুক বন্ধুসহ এই এলাকার বৃত্তবানদের আরো বেশি বেশি সহযোগী হওয়ার আহবান জানান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এম. এস আল-আমিন। সহযোগিতা পঠানের জন্য বিকাশ নাম্বার (এম. এস আল-আমিন) -০১৭১২-৬২২৩০১।
Leave a Reply