প্রতিদিনের খবর ডেস্ক :
নোয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫৬ পরিবারকে সরকারিভাবে ঘর করে দেয়া হচ্ছে । এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে রবিবার থেকে এক হাজার বান্ডিল টেউটিন, ৩০ লাখ টাকা গৃহ মজুরি, ১৭ লাখ টাকা জিআর ক্যাশ এবং ৫৬০ মেট্রিক টন জিআর চাল ও সাড়ে চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।
শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ফণী দুর্গত এলাকায় পুনর্বাসন কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে তথ্য জানানো হয়।
এ সময় সদর সুবর্ণচর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী জানান, রবিবার থেকে দুর্গত এলাকায় ঘর তৈরির কাজ শুরু করা হবে। ঈদের আগেই নির্মাণ কাজ শেষ করে ঘরগুলো গৃহহারা পরিবারগুলোর মাঝে হস্তান্তর করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুনর্বাসন কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বাজায় রাখা হবে। এক্ষেত্রে কোন প্রকার অনিয়ম অব্যবস্থাপনা ধরা পড়লে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।’
প্রেসব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস জানান, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের ‘যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহনির্মাণ’ প্রকল্পর থেকে প্রতিটি ঘরের জন্য এক লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় জেলা সদরে ১২১টি এবং সুবর্ণচরে ২৪৩টি নতুন ঘর তৈরি করা হবে। ঘরগুলো তৈরির কাজ তদারকির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতাকে। সদস্য করা হয়েছে-সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ইউনয়নের চেয়ারম্যানকে।
প্রেসব্রিফিংয়ে সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল আনম সেলিম, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়য়ারম্যান অ্যাডভেকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু ওয়াদুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম সরদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জেলা ত্রাণ পুনর্বাসন কর্মকর্তা হামিদুল হক জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে নোয়াখালী সদর, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৬৮৯টি বাড়ি সম্পুর্ণরূপে এবং ৩৩৩টি বাড়ি আংশিক বিধস্ত হয়। এতে ৬৮৯টি পরিবার খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৭০টি পরিবার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২৬৩টি পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Leave a Reply