বিশেষ প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় রুবি আক্তার (২৬) নামে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচারের দাবীতে আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে চন্দ্রগঞ্জে রয়েল হাসপাতালের সামনে মরদেহ রেখে বিক্ষোভ করে স্বজনরা ও এলাকাবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এর আগেও ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় এই হাসপাতাল আরো ৭/৮ জন রোগী মারা যায় বলে স্থানীয়রা জানায়। এ সব ঘটনার পর অভিযুক্ত ডাক্তাররা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নবজাতক সম্পুর্ন সুস্থ রয়েছে। নিহত রুবি সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বসুদোহিতা গ্রামের ভেন্ডার আবুল কালামের মেয়ে এবং দুই সন্তানের জননী বলে জানা গেছে।
নিহতের স্বজন জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় নিহত রুবির প্রসব বেদনা উঠলে পরিবারের লোকজন তাকে চন্দ্রগঞ্জ রয়েল হসপিটালে ভর্তি করে। পরে সন্ধ্যায় ৭ টার দিকে ডাঃ মঞ্জরুল হক ও শাহিন আক্তার তত্ত্বাবধানে রুবি আক্তারকে সিজার করানোর জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। অপারেশন শেষে চিকিৎসক মঞ্জুরুল আলম অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে রোগীর কয়েক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন ও রোগীর অবস্থায় ভালো নয় বলে জানান। রোগীর স্বজনরা এক এক করে ৭ ব্যাগ রক্ত দেওয়ার পরেও যখন রোগীর আরো অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তড়িঘড়ি করে রোগীকে রাতেই কুমিল্লা টাওয়ার হসপিটাল রেপার করেন রয়েল হসপিটালে কর্তৃপক্ষ। পরববতীতে কুমিল্লা নেওয়া হলে কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ রোগীকে ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেয় মুমুর্ষবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালে নেওয়ার পথে মঙ্গলবার সকাল দিকে সে মারা যায়। এ দিকে রুবিনার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা এক পর্যায়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা ও অবহেলাকে দায়ী হাসপাতালে হামলা চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে বিক্ষুব্দদের বাধা দেয় এবং মামলা সহ আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ করে বলেন, এ হসপিটালেটির বিরুদ্ধে এর আগেও ভূল চিকিৎসায় ৭/৮ জন রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ রয়েছে। দ্রুত এসব অপচিকিৎসা বন্ধের দাবী এবং হাসপাতালটি বন্ধসহ এ ঘটনার সাথে জড়িত চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষসহ অন্যদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবী জানান।
ঘটনার বিষয়ে রয়েল হসপিটালের এমডি ডাক্তার সোলায়মান বলেন, ভুল চিকিৎসা নয়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে রোগীর মৃত্যু হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত মো. মফিজ উদ্দিন জানান, রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন দুর্বলতা কিংবা ত্রুটি পাওয়া যায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply