শিরোনাম:
চন্দ্রগঞ্জ বাজার পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা মাঈন উদ্দিন হামীম স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ চন্দ্রগঞ্জ আইডিয়াল একাডেমিতে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সুমাইয়া মেমোরিয়াল স্মৃতি বৃত্তি প্রদান লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো শাহআলম চৌধুরী স্মৃতি বৃত্তি পরীক্ষা চন্দ্রগঞ্জে মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আলোচনায় ফজলুর রহমান বাবু ও বীনা আক্তারের “তুমি আমার মনের মানুষ” বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তোফায়েল আহম্মদের মৃত্যুতে সৌদি প্রবাসী বিএনপির দোয়া ও আলোচনা সভা লক্ষ্মীপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মদ পাঠাগার উদ্ধোধন বীর মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া জিয়া সৈনিকদলের পূর্নাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

মাদ্রাসা অধ্যক্ষের নির্দেশে নুসরাতকে আগুন দেওয়া হয় : পিবিআই

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
  • 233 Time View

প্রতিদিনের খবর ডেস্ক :

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে পুলিশের হাতে আটক সাতজন। ওই হত্যাকাণ্ড মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার নির্দেশে ঘটেছে বলে আজ শনিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআইয়ের প্রধান মনোজ কুমার মজুমদার আজ বেলা একটার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করেন। ওই ব্রিফিংয়ে বলা হয়, অধ্যক্ষের নির্দেশে হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটেছে। ৪ এপ্রিল সিরাজ উদ দৌলার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন আসামি নুর উদ্দীনসহ কয়েকজন। পরে তাঁরা সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে দেখা করেন।
নুসরাতকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁর মুক্তির দাবিতে ‘সিরাজ উদ দৌলা সাহেবের মুক্তি পরিষদ’ নামে কমিটি গঠন করা হয়। ২০ সদস্যের এ কমিটির আহ্বায়ক নুর উদ্দিন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক হন শাহাদাত হোসেন। তাঁদের নেতৃত্বে অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে গত ২৮ ও ৩০ মার্চ উপজেলা সদরে দুই দফা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। তাঁরাই নুসরাতের সমর্থকদের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পিবিআইয়ের ভাষ্য, নুর উদ্দিনসহ কয়েকজন সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে দেখা করে নির্দেশ নিয়ে আসেন। ৫ এপ্রিল সকাল নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার দিকে মাদ্রাসার কাছে থাকা হোস্টেলের পশ্চিম অংশে তাঁর মূল পরিকল্পনা করেন। সেখানেই নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। অধ্যক্ষকে আটক করায় আলেম সমাজকে হেয় করা হয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। এই হেয় করা ও প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখানের ক্ষোভ থেকে নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত নেন। এ ঘটনায় দুজন মাদ্রাসাছাত্রী ও তিনজন ছাত্র জড়িত। এঁদের একজন মাদ্রাসাসংলগ্ন সাইক্লোন সেন্টারে তিনটি বোরকা ও কেরোসিন শাহদাতকে দিয়েছেন। পরে দুজন ছাত্র ও দুজন ছাত্রী বোরকা পরে সাইক্লোন সেন্টারের টয়লেটে লুকিয়ে ছিলেন। তাঁরাই নুসরাতের শরীরে আগুন লাগিয়েছেন।
৬ এপ্রিল নুসরাত পরীক্ষা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাঁর গায়ে আগুন দেন। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ওই দিন রাতে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।
এর আগে গত ২৭ মার্চ ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন নুসরাতের মা। গত রোববার নুসরাত চিকিৎসকদের কাছে দেওয়া শেষ জবানবন্দিতে বলেছিলেন, নেকাব, বোরকা ও হাতমোজা পরা চারজন তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই চারজনের একজনের নাম শম্পা।
সুত্র : আজকালের খবর

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Shares